আন্তর্জাতিক

শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ালো ভারত

(Last Updated On: )

ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে নয়াদিল্লি। বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় বিচারের সম্মুখীন করতে তাকে দেশে প্রত্যর্পণ করার জন্য ভারতের কাছে বাংলাদেশের অর্ন্তবর্তী সরকার অনুরোধ জানিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে তার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর তথ্য পাওয়া গেল।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশে যখন শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল হয়েছে ঠিক তার পরদিন জানা গেল তার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির খবর। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দিল্লিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। তবে ভারত ঠিক কবে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে তা এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এবং তখন থেকেই তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। সম্প্রতি তার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও) শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল। তবে তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া নিয়ে যে গুঞ্জন রয়েছে, সেই কথাও অস্বীকার করা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, ভারতে শরণার্থী এবং আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে কোন সুনির্দিষ্ট আইন নেই।

এদিকে, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুম এবং অন্যান্য অপরাধের অভিযোগে ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। শেখ হাসিনা ও তার সহযোগী ১২ জনকে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাজির করতে বলেছেন ট্রাইব্যুনাল।

বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান বলেছেন, ২০০৯ সালে পিলখানায় ৭৪ জনের হত্যাযজ্ঞের তদন্তের অংশ হিসেবে তারা শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ভারতে যেতে চান।

এর আগে ২৩ ডিসেম্বর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে নয়াদিল্লির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যার্পণের অনুরোধ জানায় ঢাকা। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এমন উদ্যোগকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণে নয়াদিল্লির ওপর চাপ বৃদ্ধির প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।