প্রধান পাতা

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের একমুখে দুই কথা


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে একেক সময় একেক কথা বললেন রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিন। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের বিষয়টি পরিষ্কার করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। তবে সেই পদত্যাগের ‘দালিলিক প্রমাণ’ তার কাছে নেই বলে নতুন করে বক্তব্য দিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার দিনই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।’

দেশের এমন পরিস্থিতিতে গত ৮ আগস্ট তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের পক্ষে মত দেন ও রুলিং ইস্যু করেন। পরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বঙ্গভবনে তাকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার এখন দেশ পরিচালনা করছে।

আন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাসের বেশি সময় চলে যাওয়ার পর নতুন বিতর্কের জন্ম দিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি বলেন, তিনি শুনেছেন যে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তবে তার কাছে এর কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই।

গতকাল রবিবার পত্রিকাটির রাজনৈতিক ম্যাগাজিন ‘জনতার চোখ’-এ প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘আমিও খুঁজছি (হাসিনার পদত্যাগপত্র), তিনি হয়তো সময় পাননি।’

রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘হাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে, একটি অবৈধ সরকারকে জনগণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করেছে। এখানে পদত্যাগপত্রের কোন ভূমিকা নেই।’

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ইস্যুতে ভিন্ন বক্তব্যে রাষ্ট্রপতির পদে মো. সাহাবুদ্দিনের থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘তার (মো. সাহাবুদ্দিন) এই পদে থাকার যোগ্যতা আছে কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। উনি যদি তার বক্তব্যে অটল থাকেন, তাহলে বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদে যাবে এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, সংবিধানের ৫৭(ক) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর পদ শূন্য হইবে, যদি তিনি কোনো সময়ে রাষ্ট্রপতির নিকট পদত্যাগপত্র প্রদান করেন।’

সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে আপিল বিভাগ মতামত দিয়ে বলেছিলেন, সংসদ না থাকা অবস্থায় প্রধান উপদেষ্টা ও কয়েকজন উপদেষ্টা নিয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করা যেতে পারে।

সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়, ‘যদি কোনো সময়ে রাষ্ট্রপতির নিকট প্রতীয়মান হয় যে, আইনের এইরূপ কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হইয়াছে বা উত্থাপনের সম্ভাবনা দেখা দিয়াছে, যাহা এমন ধরনের ও এমন জনগুরুত্বসম্পন্ন যে, সেই সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের মতামত গ্রহণ করা প্রয়োজন, তাহা হইলে তিনি প্রশ্নটি আপিল বিভাগের বিবেচনার জন্য প্রেরণ করিতে পারিবেন এবং উক্ত বিভাগ স্বীয় বিবেচনায় উপযুক্ত শুনানির পর প্রশ্নটি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে স্বীয় মতামত জ্ঞাপন করিতে পারিবেন।’