বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিলেন ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার সোনাউটা গ্রামের গৃহবধূ মুক্তা আক্তার পুতুল (২৪)।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) রাত ২টার দিকে হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিন ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম দেন তিনি।
চার নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে- সায়েম, সালিম, আলিম ও আয়শা। তাদের মা মুক্তা ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার সোনাউটা গ্রামের বাসিন্দা ও বাহরাইনপ্রবাসী সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী।
শেবাচিম হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এম আর তালুকদার মুজিব জানান, চারটি বাচ্চার মধ্যে একটির বেশি ওজন কম নিয়ে জন্ম নিয়েছে। সেই বাচ্চাসহ সব শিশুকেই অবজারবেশনে রাখা হয়েছে। এমনিতে বাহ্যিকভাবে দেখে শিশুদের সবকিছু স্বাভাবিক ও ভালো মনে হচ্ছে।
তবে এখন পর্যন্ত কোনো শিশু শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মনিরুজ্জামান শহিন। তিনি বলেন, সবকয়টি বাচ্চাই ওজনে কম রয়েছে। অর্থাৎ ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় স্বাভাবিক একটি শিশুর যে ওজন থাকার কথা, তা কারোরই নেই। তাই চারটি শিশুকেই হাসপাতালের নিউনেটাল ওয়ার্ডে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। কখন কী হয় এখনই বলা যাচ্ছে না।
অপরদিকে শিশুদের মা মুক্তা সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের এই পরিচালক।
এদিকে ঘর আলো করে চার সন্তান জন্ম নেওয়ায় সিদ্দিক-মুক্তা দম্পতির পরিবার ও স্বজনেরা সবাই খুশি।
চার সন্তানের জননী মুক্তার মা মায়া বেগম বলেন, একটা বাচ্চা কিংবা একলগে দুইটা বাচ্চা হওয়ার কথা শুনছি। কিন্তু এখন তো চারটা সন্তান হইলো একলগে। ওগো লইগ্যা আর আমার মাইয়ার লইগ্যা দোআ করবেন যাতে ওরা ভালো ও সুস্থ থাকে।
তিনি জানান, ১০ বছর আগে মেয়ে মুক্তার বিয়ে হয় সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে। তাদের সংসারে ৬-৭ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।
এদিকে চার সন্তান ও স্ত্রীর খোঁজ নিতে বাহরাইন থেকে সিদ্দিকুর রহমান ফোন দিয়েছে জানিয়ে মুক্তার ভাই শান্ত বলেন, বর্তমানে আমার বোনকে হাসপাতালের ৫ তলার কেবিনে রয়েছেন আর বাচ্চাগুলো দোতলায় রয়েছে। উভয় জায়গাতে আমাদের স্বজনরা রয়েছেন।