একসঙ্গে অন্তত চার হাজার তরুণ-তরুণী বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন। তাদের কেউ হিন্দু সম্প্রদায়ের, আবার কেউ মুসলিম। নিজস্ব ধর্মের রীতি অনুযায়ী শেষ হয় বিয়ের কার্যক্রম। টানা ছয় ঘণ্টা ধরে চলে এই গণবিয়ের অনুষ্ঠান।
ভারতের রাজস্থানের বারান জেলায় আয়োজন করা হয় এই গণবিয়ের। ‘শ্রী মহাবীর গোশালা কল্যাণ সংস্থান’ নামের এক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান এই বিয়ের আয়োজন করে। তাদের আয়োজনে এই গণবিয়েতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন ২১৪৩ যুগল। অর্থাৎ মোট ৪ হাজার ২৮৬ তরুণ-তরুণী বিয়ের জন্য নাম লেখান। তাদের মধ্যে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের যুগল ছিলেন। নির্দিষ্ট দিনে ধুমধাম করে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। প্রত্যেক সম্প্রদায়ের নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে বিয়ের এই আয়োজন করা হয়।
আজ রোববার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৬ মে এই গণবিবাহের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত এবং রাজ্যের আরেক মন্ত্রী প্রমোদ জৈন ভায়া। নবদম্পতিদের আশীর্বাদ করেন তারা। আর নবদম্পতিদের বিয়ের প্রশংসাপত্র দেন সরকারি কর্মকর্তারা।
বিয়ের অনুষ্ঠানে শুরুতে বর ও কনে প্রথমে একে অপরের গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দেন। এরপর তাদের নেওয়া হয় বিয়ের আসরে। সেখানে পুরোহিতদের নির্দেশে বিয়ের রীতি শেষ করা হয়। আর ইসলাম ধর্মাবলম্বী যুগলদের জন্য স্থানীয় কাজী ডেকে বিয়ে পড়ানো হয়।