প্রধান পাতা

মন্ত্রীর বাড়িতে প্রাইভেট জেল, ৩ লাশ উদ্ধার

(Last Updated On: )

পাকিস্তানের এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তার বেলুচিস্তানের বাড়িতে ব্যক্তিগত জেলখানা গড়েছেন বলে অভিযোগ। মন্ত্রীর ওই বাড়ির কাছের এক কুয়া থেকে গুলিবিদ্ধ তিনজনের লাশ উদ্ধারের পর এমন অভিযোগ উঠেছে। খবর ইনডিপেনডেন্টের।

তবে বেলুচিস্তানের যোগাযোগ ও পূর্তমন্ত্রী সর্দার আব্দুল রেহমান খেত্রান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, এটি তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত।

ঘটনার বিস্তারিত সম্পর্কে জানা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি বেলুচিস্তানের বারখান জেলায় ওই মন্ত্রীর বাড়ির কাছে এক কুয়া থেকে পোড়া ও গুলিবিদ্ধ এক নারী ও তার দুই সন্তানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীরা হচ্ছে গিরান নাজ (৪০) এবং তার দুই সন্তান মোহাম্মদ নওয়াজ (২২) ও আব্দুল কাদির (১৫)। এই নিয়ে গত বুধবার স্থানীয় সম্প্রদায়ের শত শত সদস্য প্রতিবাদে নামে।

পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ডন জানিয়েছে, নিহত ওই নারীর স্বামী দুই সন্তানের বাবা খান মুহাম্মদ মারি দাবি করেছেন, ওই মন্ত্রী তার পরিবারকে প্রায় চার বছর ধরে ব্যক্তিগত জেলে বন্দি করে রেখেছে।

তিনি ডনকে আরও বলেছেন, এসব লাশ আমার স্ত্রী ও দুই সন্তানের যাদের ব্যক্তিগত জেলে চার বছর ধরে আটকে রাখা হয়েছিল। মুহাম্মদ মারি আরও দাবি করেছেন, তার ১৩ বছর বয়সী শিশুসহ আরও পাঁচ সন্তান মন্ত্রীর ব্যক্তিগত জেলে বন্দি।

এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই মন্ত্রীর বাড়িতে স্থানীয় পুলিশ অভিযান চালায় বলে স্থানীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

এই ঘটনায় পাকিস্তানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় চলছে। স্বয়ং পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এর বিচার চেয়েছেন।

এদিকে বিক্ষোভকারীরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ তাদের কাছে না আসা পর্যন্ত তারা এসব লাশ দাফন করবেন না।