জাতীয়

দরিদ্রতা দূর করার বড় হাতিয়ার হচ্ছে শিক্ষা: প্রধানমন্ত্রী


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বিশেষ প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে সরকার। শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে ২০২৩ সালের পাঠ্যপুস্তক বিতরণের জন্য তিনি খুবই খুশি।

শিক্ষার মাধ্যমেই দরিদ্রতা দূর হয় মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিদেশ থেকে ফিরে এসে আমরা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করি।

সরকার গঠন করার পর থেকে আমরা বাংলাদেশের মানুষকে দারিদ্র্য মুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করি। আর শিক্ষায় হচ্ছে দরিদ্রতা দূর করার বড় হাতিয়ার।

তাই তো আমরা পুরো জাতিকে শিক্ষিত করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করি। পুনরায় শিক্ষা কমিশন গঠন করি। তবে সরকারের সময়সীমা শেষ হওয়ায় আমরা সেই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে পারিনি। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়।

শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে ২০২৩ সালের পাঠ্যপুস্তক বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে উদ্বোধনের মাধ্যমে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রাক প্রাথমিক, প্রাথমিক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫ এর পর সরকারগুলো শিক্ষার প্রসারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ২০১০ সাল থেকে ৪৩৪ কোটি ৪৫ লাখ হাজার বই বিতরণ করা হয়েছে।

তরুণ প্রজন্ম যেনো চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযুক্ত হয়ে গড়ে উঠতে পারে সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

দেশের শিক্ষার উন্নয়নে তার সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন, স্বাধীনতার পর এ জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুরু করা নানা কার্যক্রমের কথাও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) হিসাব অনুযায়ী, সারাদেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ৩৩ কোটি ৯১ লাখ ১২ হাজার ৩০০ পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সরকার প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, ইবতেদায়ী ও এসএসসি স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য যথাযথ মান বজায় রেখে এসব পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ করেছে এবং নতুন বছরের প্রথম দিনে সব শিক্ষার্থী বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক পাবেন।

প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক উৎসব কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এবং মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক উৎসব গাজীপুরের কাপাসিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।

জানুয়ারির প্রথম দিনে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের মাধ্যমে বিশ্বে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ।

বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে শিক্ষাবিদরা বলেন, এই উদ্যোগ স্কুল থেকে ঝরে পড়ার হার কমিয়েছে এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়িয়েছে।

তারা বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের উদ্যোগকে শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি ‘মাইলফলক’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন কারণ এটি শিক্ষার্থীদের তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করেছে।

বর্তমান সরকার ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ শুরু করে এবং এ পর্যন্ত মোট ৪৩৪ কোটি ৪৫ লাখ ৮০ হাজার ২১১টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করেছে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।