পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে পূর্ব বিরোধের জেরে কুপিয়ে চারজনকে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। আহতরা হলেন, জাহারুল ইসলাম (৪৭), মো. জাহিদুল ইসলাম (৪০), মো. জাহারুল (৪৩), ও মো. সাগর (৩৬)। এদের মধ্যে জাহারুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার মূল হোতা হামলার নেতৃত্বদানকারী সোহাগ ঘরামী (৪৫) উল্টো মামলা করতে গিয়ে তার সহযোগী আকাশসহ (২২) গ্রেপ্তার হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সকালে তাদের দুজনকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে সোমবার দুপুরে উপজেলার সোহাগদল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আকরামুল ইসলাম বাবুলের বাড়ির সামনে ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে জাহারুল ইসলামের ভাই জামাল মিয়া বাদী হয়ে আট জনকে নামীয় ও অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকার জাবেদ মিয়ার ছেলে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলচালক সোহাগের সাথে তার প্রতিবেশীদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমিসহ নানা বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ঘটনার দিন দুপুরে সোহাগের প্রতিবেশী সাগর তার দোকানে যাওয়ার জন্য সাবেক চেয়ারম্যান আকরামুল ইসলাম বাবুলের বাড়ির কাছে পৌঁছলে সোহাগ ও তার ভাই মাকছুদসহ অন্তত ১১ জন অটোযোগে এসে সাগরের উপর হামলা চালায়। এতে সাগরের হাত ভেঙে যায়। সাগরকে রক্ষায় প্রতিবেশি জাহারুল ইসলাম জাহিদুল ইসলামসহ এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদেরকেও এলোপাথাড়ি মারপিট করে। এ সময় সোহাগ তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে জাহারুল ইসলামের বাম হাতে কোপ দেয়। এ ছাড়াও হামলাকারীদের লাঠির আঘাতে জাহিদুল ইসলাম ও জাহারুল আহত হন।
এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহারুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত বরিশাল শের এ বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্য আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, সোহাগ নিজে ঘটনা ঘটিয়ে উল্টো থানায় এসে মামলা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু গোপন সূত্রে তথ্য পেয়ে তাকে থানায় বসিয়ে রেখে পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনার রহস্য উৎঘাটনের পর মামলা হলে তাকেসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মঙ্গলবার পিরোজপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।