চট্টগ্রাম

সভাপতি-সম্পাদককে বাদ দিয়ে চবি ছাত্রলীগের শোকসভা

(Last Updated On: )

আগস্টের শেষদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সকল শহীদদের স্মরণে শোকসভা করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগ। তবে শোকসভায় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক- দু’জনের একজনও উপস্থিত ছিলেন না।

শাখা ছাত্রলীগের সর্বোচ্চ পদধারী দুই নেতার অনুপস্থিতি কোনও ব্যস্ততার কারণে নয়, মূলত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি ছাত্রলীগের ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ শোকসভায়। বুধবার (৩১আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় এ শোকসভা।  

জানা গেছে, শোকসভার আয়োজক ছিলেন গত ১০ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপনকারী ৯৪ জন পদধারী নেতা। অনাস্থা জ্ঞাপনকারী নেতারা তিনটি দাবি আদায় না হলে আগস্টের পর থেকে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন।

দাবিগুলো হলো- পদবঞ্চিত ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে কমিটিতে অন্তর্ভুক্তকরণ। কমিটিতে পদপ্রাপ্ত নেতাদের যোগ্যতা অনুযায়ী যোগ্যস্থানে ক্রমানুসারে পুনঃমূল্যায়ন করা। কমিটিতে পদপ্রাপ্ত বিবাহিত, চাকরিজীবী ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি প্রদীপ চক্রবতী দুর্জয় বলেন, ত্যাগী, পরিশ্রমী এবং মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে যারা নিজেদের স্বার্থে নিষ্ক্রিয়, অযোগ্য এবং বিতর্কিতদের বিভিন্ন পদে বসিয়েছেন- এমন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের প্রতি আমরা আগেই অনাস্থা জ্ঞাপন করেছি। তাই তাদেরকে শোকসভায় আমন্ত্রণ জানানোর প্রশ্নই ওঠে না। তাছাড়া পুরো আগস্ট মাস শেষ, অথচ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে কোনও আয়োজন করতে পারলো না। তাদের প্রতি আস্থা রাখা যায় না।

শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে শোকসভায় আমন্ত্রণ না জানানোর কারণ জানতে চাইলে সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান দিনারও একই কথা বলেন।

এ বিষয়ে জানতে সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া দেননি তিনি।

শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘আমরা ১৫ আগস্ট মোমবাতি প্রজ্বালন ও র্যা লি করেছিলাম। এর বাইরে অবশ্য আর কোনও প্রোগ্রাম করা হয়নি। তবে গতকালের শোকসভাটি নাছির গ্রুপের (আ জ ম নাছির উদ্দীন) একাংশ করেছে। এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি’।  

এর আগে ৩১ জুলাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ৪২৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। গঠনতন্ত্র না মেনে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে অতিরিক্ত ২৭৪ জনকে পদ দেওয়ায় বিকর্কিত হয় এ কমিটি। ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণার দীর্ঘ ৩ বছর পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। অথচ ২ বছর আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে চবি ছাত্রলীগের এ কমিটি।