জাতীয়

শিক্ষকের ওপর অভিমান করে ছাত্রীর আত্মহত্যা


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

ফেনীতে মাদরাসার সুপারের ওপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে ফারজানা আক্তার (১৪) নামে এক ছাত্রী।

বৃহস্পতিবার (২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ফারজানা রাজাপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের মেয়ে। সে ফেনীর দাগনভূঞার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের আমুভূঞারহাট হাছানিয়া দাখিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

জানা যায়, মাদরাসা সুপার মাওলানা বেলাল হোসেন ওই ছাত্রীর অভিভাবককে নিয়ে আসার জন্য বলেন। কিন্তু ওই ছাত্রীর বাবা চাকরির কারণে ঢাকায় থাকায় ও মা অসুস্থ হওয়ার কারণে সুপারের সঙ্গে দেখা করতে কেউ যেতে পারেননি। পরে বৃহস্পতিবার সকালে ওই ছাত্রী মাদরাসায় গেলে সুপার ও সহকারী শিক্ষক মো. আলমগীর এবং গিয়াস উদ্দিন মিঞা তাকে বকাঝকা করে শেণিকক্ষ থেকে বের করে দেন।

শেণিকক্ষের শিক্ষার্থীদের সামনে এ অপমান সহ্য করতে না পেরে সে বাড়িতে চলে যায় এবং নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

এ বিষয়ে মাদরাসা সুপার বেলাল হোসেন বলেন, ছাত্রীর বিষয়ে কিছু অভিযোগ রয়েছে, সে জন্য ওই ছাত্রীর অভিভাবককে নিয়ে আসার জন্য বলেছি। কিন্তু সে অভিভাবক নিয়ে আসেনি। ক্লাশে তাকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়- তার মাকে মাদরাসায় আসার জন্য বললে তিনি বকাঝকা করেন। পরে আমি ও সহকারী শিক্ষক মো. আলমগীর এবং গিয়াস উদ্দিন মিঞা তাকে জানাই অভিভাবক নিয়ে না আসা পর্যন্ত ক্লাশ করার দরকার নেই। তখন সে বাড়ি চলে যায়। তাকে কোনো বকাঝকা করিনি।

এদিকে, এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মো. আলমগীর ও গিয়াস উদ্দিন মিঞাকে মুঠোফোনে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। সেটি ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় যদি কেউ অভিযোগ করেন, তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।