বগুড়ার ধুনট উপজেলায় নিজের বাড়ির ছাগলের খোঁয়াড় থেকে রানা মিয়া (২৭) নামের মাদকাসক্ত এক তরুণের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার দুপুরের পর রানার লাশ উদ্ধার করে ধুনট থানায় নেওয়া হয়। তিনি উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের কৈয়াগাড়ি-জাংলাদহ গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে রানা মিয়া বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য সেবন করতেন। প্রায় ১০ মাস আগে একই এলাকার মরিচতলা গ্রামে বিয়ে করেন। স্বামী মাদকাসক্ত জেনে সংসার করবে না বলে ক্ষুব্ধ হয়ে দেড় মাস আগে বাবার বাড়ি চলে যান। এতে চরম হতাশায় পড়ে রানার মাদক সেবনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এক মাস আগে শ্বশুরবাড়ির পাশে রাস্তায় বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন রানা।
গতকাল সোমবার রাতের খাবার খেয়ে নিজের ঘরের বিছানায় একাই ঘুমিয়ে পড়েন রানা মিয়া। আজ সকালে ঘরে রানাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে পরিবারের সদস্যরা। একপর্যায়ে বেলা ১১টার দিকে বাড়ির ছাগলের খোয়াড়ের ভেতর রানার লাশ দেখতে পান তার মা-বাবা। পরে সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে তার মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে।
রানার বাবা আজিজার রহমান বলেন, ‘আমার ছেলে রাতে ঘরে ঘুমিয়েছিল। সকালে তার লাশ ছাগলের ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, তা বলতে পারছি না। তবে এ ঘটনায় কারও প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই।’
এ বিষয়ে ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বাবু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রানা মাদকাসক্ত ছিলেন।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে না পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা সম্ভব না। তবে রানার রহস্যজনক মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।