ডাকাতির মামলায় অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আদালত আবদুস সাত্তারকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। কিন্তু আদালতের দেওয়া সাজা ভোগ করার ভয়ে ২০ বছর ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন এই ডাকাত সর্দ্দার।
তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়তেই হয়েছে তাকে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার (৬ মে) গভীর রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঘুঘুডিমা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বর্তমানে আবদুস সাত্তারের বয়স ৬০ বছর। ৪০ বছর বয়সে তারা সাজা হয়েছিল। তিনি রাজশাহীর তানোর উপজেলার কিসমত বিল্লি গ্রামের মো. গরিবুল্লাহর ছেলে। তার নামে ১৯৯৯ সালের ৯ মার্চ মামলা হয়েছিল। কিন্তু মামলা হওয়ার পর থেকেই ভারতের মুর্শিদাবাদে চলে যান তিনি।
শনিবার (৭ মে) বিকেলে রাজশাহী জেলা স্পেশাল ব্রাঞ্চ (ডিএসবি) পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ডাকাতির অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আদালত আসামি আবদুস সাত্তারের অনুপস্থিতিতেই তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন এবং এক হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু আসামিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি ভারতের মুর্শিদাবাদ এলাকায় গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
কয়েকদিন আগে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজশাহীর তানোর থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। এরপর শনিবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।