খাগড়াছড়ীর রামগড়ে চাঞ্চল্যকর স্ত্রী-মেয়েকে হত্যা মামলার আসামি সোলেমান হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল সোমবার রাতে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিআইডি হেডকোয়ার্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর। তিনি জানান, খাগড়াছড়ীর রামগড় উপজেলার মধুপুর গ্রামে গত ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় খালেদা আক্তার পিংকি ও সালমা আক্তার জান্নাত (৪ মাস) নামে দুজনের গলাকাটা লাশ তাদের বসতঘর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত খালেদা আক্তার পিংকির বাবা আব্দুল খালেক দুলাল পিংকির স্বামী সোলেমান হোসেনের বিরুদ্ধে রামগড় থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডি ছায়া তদন্ত শুরু করে। গতকাল সোমবার রাতে সিআইডির এলআইসির একটি চৌকস টিম হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোলেমানকে গ্রেপ্তার করে।
সোলেমানের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সিআইডি জানায়, গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার একটি টেক্সটাইল মিলে অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন সোলেমান হোসেন। ২০১৩ সালে পারিবারিকভাবে পিংকির সঙ্গে বিয়ে হয় তার। বিয়ের পর তিনি গ্রামের বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। তাদের সংসারে ফারিয়া সুলতানা (৫ বছর) এবং সালমা আক্তার জান্নাত (৪ মাস) নামে দুই মেয়ে সন্তান ছিল।
সিআইডি আরও জানায়, পরকীয়া সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় গত ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সোলেমান তার স্ত্রী ও ৪ মাস বয়সী শিশু সন্তানকে ধারালো দা দিয়ে গলাকেটে হত্যা করেন। পরে তাদের লাশ কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে ঘরের মেঝেতে রেখে তালা দিয়ে পালিয়ে যান।