চট্টগ্রাম

খাদ্য মজুদে চট্টগ্রামে নির্মিত হচ্ছে আরও একটি সাইলো

(Last Updated On: )

চট্টগ্রামে খাদ্য মজুদের ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে আরও একটি সাইলো নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। হালিশহরে অবস্থিত সাইলোর পাশেই নতুন সাইলো নির্মাণ করা হবে। এটিও হবে গম মজুদ করার জন্যে। চট্টগ্রাম ছাড়াও খুলনাতেও আরেকটি সাইলো নির্মাণ করা হবে। এ দুটি সাইলোর ধারণ ক্ষমতা হবে এক লাখ ৯০ হাজার ৫শ টন। এতে ব্যয় ৮৯৩ কোটি ৪৮ লাখ ৭১ হাজার ১২৩ টাকা। দুটি সাইলোর নির্মাণে আর্থিক সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক।
খাদ্য বিভাগ জানায়, হালিশহর এলাকায় অবস্থিত বর্তমান সাইলোর পাশেই নির্মিত হবে নতুন এই সাইলো। নতুন জেটিও গম সংরক্ষণ উপযোগী। সাইলোটির ধারণ ক্ষমতা হবে এক লাখ ১৪ হাজার ৩ শ টন। এটি নির্মাণে ব্যয় হবে ৫৩৭ কোটি ৫৭ লাখ ৬৩ হাজার ৭৩৪ টাকা। আর খুলনার সাইলোটির ধারণ ক্ষমতা হবে ৭৬ হাজার ২০০ টন। এটি নির্মাণে ব্যয় হবে ৩৫৫ কোটি ৯১ লাখ ৭ হাজার ৩৮৯ টাকা। চট্টগ্রামের ১ লাখ ১৪ হাজার ৩ শ টন ধারণ ক্ষমতার আধুনিক গমের সাইলো নির্মাণের লক্ষ্যে প্রকল্পের ডিজাইন এন্ড সুপারভিশন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রণীত ডব্লিউ-২৪ প্যাকেজের প্রাক্কলন, প্রকল্পের দাপ্তরিক প্রাক্কলন কমিটি পর্যালোচনা করে পাঁচ কোটি ৩৮ লাখ ৪৪ হাজার ১৮০ মার্কিন ডলারের সমতুল্য ৪৫৬ কোটি ৫৯ লাখ ৮৬ হাজার ৪৬৪ টাকার প্রাক্কলন চূড়ান্ত করে।
সূত্র জানায়, খুলনা ও চট্টগ্রাম সাইলো নির্মাণ কাজ ডিপিপি’তে ডব্লিউ-১ প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই প্যাকেজটির জন্য ২০১৭ সালে দরপত্র আহ্বান করা হয়। তবে প্রকল্পের এ খাতে অর্থ বরাদ্দ না থাকায় ওই সময় প্যাকেজটির মূল্যায়ন করে কার্যাদেশ দেওয়া সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে অতিরিক্ত অর্থায়নের চুক্তি স্বাক্ষর ও ডিপিপি সংশোধন করা হয়। অতিরিক্ত অর্থায়ন চুক্তি ও ডিপিপি সংশোধনের পর বিশ্বব্যাংকের সম্মতিতে ডব্লিউ-১ প্যাকেজ ভেঙে ডব্লিউ-২৪ (চট্টগ্রাম) ও ডব্লিউ-২৫ (মহেশ্বর পাশা, খুলনা) নামে দুটি প্যাকেজে বিভক্ত করা হয়।
দেশে আটটির মধ্যে পাঁচটি সাইলো নির্মাণের চুক্তি ইতোমধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার চুক্তি মূল্য ১৬১১ কোটি ১২ লাখ টাকা অর্থাৎ বর্তমানে সাইলো নির্মাণ খাতে ডিপিপিতে সংস্থান রয়েছে ১০৭৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা।