নড়াইলের কালিয়ায় স্বামীর ইন্ধন ও সহযোগিতায় গৃহবধূকে দল বেঁধে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে গতকাল সোমবার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি আইনে থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ওই সেনাসদস্য স্বামীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। উপজেলার সালামাবাদ ইউনিয়নে গত রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমাউল্লাহ আল বারী বলেন, আতাউর ঘটনার পরদিন ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন। বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আজ সকাল নয়টার দিকে কালিয়া থানা-পুলিশ আতাউর রহমানকে যশোর সেনানিবাসে হস্তান্তর করেছে। অন্যদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া অন্য চারজন হলেন মিল্লাত হোসেন (২৮), দীন মোহাম্মদ (কালু) (২২), রিয়াজ শেখ (২৪) ও তালহা জুবায়ের (জেমস) (২১)।
স্থানীয় লোকজন ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই নারীর ১৪, ১২ ও ৭ বছর বয়সী তিনটি সন্তান রয়েছে। ওই গ্রামের এক তরুণকে (১৭) ওই নারী তাঁর ঘরে রাখতেন। তাঁর স্বামী এ নিয়ে স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ ছিল। গত রোববার রাত দুইটার দিকে আসামি চার যুবক ওই নারীর ঘরে ঢুকতে দরজায় কড়া নাড়েন। নারী দরজা না খুললে যুবকেরা তাঁর স্বামীর কাছে ফোন দেন। স্বামী তখন ফোনে স্ত্রীকে দরজা খুলে দিতে বলেন। স্ত্রী দরজা খুলে দিলে যুবকেরা ঘরে ঢুকে ওই নারী ও তরুণকে জোর করে বিবস্ত্র করেন। এ অবস্থায় তাঁদের ছবি তুলে ফোনে স্বামীর কাছে পাঠান। স্বামী তখন তাঁদের মারপিট করার নির্দেশ দেন। যুবকেরা ওই তরুণকে মারধর করেন।
এরপর মিল্লাত, দীন মোহাম্মদ ও রিয়াজ পালাক্রমে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। ওই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ এবং নারীকে ধর্ষণে সহায়তা করেন তালহা জুবায়ের। সকাল ছয়টার দিকে যুবকেরা ঘর থেকে বের হয়ে যান। পরে আশপাশের লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ ওই নারীকে থানায় নিয়ে যায়।