: আগের শর্তাবলির সঙ্গে কিছু নতুন শর্ত যুক্ত করে চলমান ‘লকডাউন’ বা বিধিনিষেধ আগামী ৬ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।
চলমান বিধি নিষেধের শেষ দিন রোববার (৩০ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এমন শর্তযুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী জেলায় করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সরকারকে ভাবিয়ে তুলেছে। এজন্য সীমান্তবর্তী জেলার মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্তঃজেলাসহ সব ধরনের গণপরিবহন আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের সুযোগ রেখে ৬ জুন পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও হোটেল-রেস্তোরাঁ ও খাবার দোকানগুলোর আসন সংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীতাকে সেবা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
চলতি বছর করোনা সংক্রমণ বাড়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢিলেঢালা লকডাউন হলেও সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করে সরকার। পরে সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ এবং ট্রেন চলাচল ঈদ পর্যন্ত বন্ধ ছিল। পরে ২৪ মে থেকে গণপরিবহন চলার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে, সীমান্তবর্তী জেলায় করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া আগের শর্তাবলির সঙ্গে কিছু নতুন শর্তযুক্ত করে চলমান ‘লকডাউন’ বা বিধিনিষেধ আগামী ৬ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শুরু হলে ১৮ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। আর ২৬ মার্চ থেকে টানা ৬৬ দিন অফিস বন্ধ থাকে। আগামী ১২ জুন পযর্ন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ঘোষণা করা আছে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি শনিবার এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে না। সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে নামলে বিশেষজ্ঞরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরামর্শ দিয়েছেন, তবে সংক্রমণ এখন ১৩ শতাংশ।