গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের ছয়ঘড়িয়া গ্রামে বিয়ের মাত্র সাতদিন যেতে না যেতেই স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্মম নির্যাতনে কিশোরী গৃহবধূ শারমিন আকতারের (১৮) মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার নিজ ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জুয়েল মিয়া নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ১২ মে ওই গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে রেহান মিয়া পার্শ্ববর্তী সাঘাটা উপজেলার সাথালিয়া গ্রামের মোজাফ্ফর রহমানের কিশোরী মেয়ে শারমিন আক্তারকে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পালিয়ে বিয়ে করেন। আজ বুধবার সকালে প্রতিবেশীরা ঘরের মধ্যে শারমিনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন জানান, লাশ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত করে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই গ্রামের প্রতিবেশী ঠান্ডু আকন্দের ছেলে জুয়েল মিয়াকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।