জাতীয়

আসামি ধরতে গিয়ে রঙমহলের সন্ধান, গ্রেপ্তার ৭

(Last Updated On: )

রাজধানীর খিলগাঁওয়ে যুবলীগ নেতাকে গুলি করার ঘটনায় হওয়া মামলার আসামি ধরতে গিয়ে রঙমহলের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। এ কারণে খিলগাঁও থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। মাদক, মানব পাচার এবং ভুয়া সরকারি কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়ার অভিযোগে মামলাগুলো করে পুলিশ।

এসব মামলায় রঙমহলের স্বত্বাধিকারী জাহিদ এ রবি ওরফে বাবুমন্ডলসহ সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। এদিকে গুলির ঘটনায় যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলামের স্ত্রী আইরিন সুলতানা সুমি বাদী হয়েছে সবুজবাগ থানায় আরেকটি মামলা করেছেন। এই মামলায় আসামি হিসাবে নয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৩-৪ জনকে।

খিলগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল বাশার বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় রেলগেট এলাকায় ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন।

তিনি এখন ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাকে উদ্দেশ করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। তিনটি গুলি তার শরীরে বিদ্ধ হয়।

এ ঘটনায় সাইফুলের স্ত্রী বাদী হয়ে জামির হোসেন রিপন ওরফে পল্টি রিপন, মনিরুজ্জামান ওরফে সুমন, মঞ্জুরুল ইসলাম ওরফে কচি, রাসেল ওরফে চাপাতি রাসেল, উজ্জ্বল, জাহিদ, ডালিম, মামুন এবং কবিরসহ ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছেন।

ওই রাতেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পাই, আসামিরা খিলগাঁও শেখের জায়গা এলাকার একটি আস্তানায় অবস্থান করছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে রঙমহলের সন্ধান পাই।

সেখান থেকে সাতজনকে গ্রেপ্তার করি। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- জাহিদ এ রবি ওরফে বাবু মন্ডল, হুমায়ুন কবির, মানির হোসেন, বাবুল হোসেন, মামুন আহম্মেদ, নিলুফা ইয়াসমিন নিলা এবং মোছা. সাথী। তাদের কাছ থেকে একাধিক বোতল মদ উদ্ধার করা হয়েছে।

আমিনুল বাসার আরো বলেন, আস্তানায় বাইরে অবস্থান নিয়ে গেট খুলতে বললে দীর্ঘ সময়েও কেউ গেট খুলছিল না। ভেতরে দৌড়াদৌড়ির শব্দ শুনছিলাম।

আমরা গেট ভাঙার উদ্যোগ নিলে ভেতর থেকে গেট খোলা হয়। ভেতরে ঢুকেই একটি রুম দেখি। এটি নামমাত্র অফিস। ওই অফিস রুমের পরেই রঙমহল। সেখানে মদের আসর এবং আমোদ-ফুর্তির সব ধরনের উপাদান রয়েছে। অত্যাধুনিক লাইটিং এবং ছোট সুইমিংপুলও রয়েছে।

জানতে চাইলে খিলগাঁও থানার ওসি ফারুকুল আলম বলেন, রঙমহল থেকে গ্রেফতারকৃত সবাইকে রোববার আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। শুনানি শেষে আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গুলিবিদ্ধ সাইফুলের স্ত্রী আইরিন সুলতানা সুমি জানান, শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তার স্বামী (সাইফুল ইসলাম) ও তার বন্ধু ইকবাল কলাবাগান যাওয়ার উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল নিয়ে বাসা থেকে বের হন। খিলগাঁও ফ্লাইওভারের নিচে পৌঁছলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তার স্বামীকে লক্ষ করে গুলিবর্ষণ করে।

সাইফুলের বুকের ডান পাশে, পেটের বাম পাশে এবং পিঠের ডান পাশে গুলিগুলো বিদ্ধ হয়। মাটিতে লুটিয়ে পড়তেই আসামিরা তার স্বামীর গলা থেকে এক ভরি ওজনের আনুমানিক ৭০ হাজার টাকা মূল্যের একটি স্বর্ণের চেন ছিনিয়ে নেয়। পরে তারা মোটরসাইকেলে স্থান ত্যাগ করে।