করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশে লকডাউনের আদলে দেওয়া চলমান বিধি-নিষেধের মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সোমবার (৩ মে) মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে নিয়মিত আলোচ্যসূচির বাইরে লকডাউন বিষয়ক বেশ কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
সচিব আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ৬ তারিখের পর থেকে আন্তঃজেলা বাস চলাচল করবে। তবে লঞ্চ ও ট্রেন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় বাস যেতে পারবে না।
মার্কেট ও দোকানপাট খোলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধির অন্যথা দেখলে বন্ধ করে দেওয়ার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত আসবে। সিটি করপোরেশন, র্যাব, পুলিশ ও জেলা প্রশাসন বিষয়টি কঠোর মনিটর করবে। যদি মাস্কবিহীন ক্রেতা-বিক্রেতা দেখা যায় তবে বন্ধ করে দেওয়া হবে মার্কেট।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ দোকান-মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং এই নির্দেশনা তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হেলাল উদ্দিন আহমেদ এ কাজে প্রশাসনকে সহযোগিতা করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া মাস্কবিহীন কাউকে দেখা গেলে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পুনরায় বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের জন্যে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করে সরকার। পরের দিন ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের ১১টি সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর ৯-১৩ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়।
এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্যে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’র ঘোষণা দেয় সরকার। সেই ‘লকডাউন’র মেয়াদ ২১ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তৃতীয় দফায় তা আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল ও চতুর্থ দফায় বাড়িয়ে ৫ মে করা হয়। গত ২৫ এপ্রিল থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে শপিংমল ও দোকান। চলমান বিধি-নিষেধের মেয়াদ আজ পঞ্চম দফায় বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হলো।