জাতীয়

বাংলাদেশের উপরে মিথেন গ্যাসের ‘রহস্যময়’ ধোঁয়া


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

বাংলাদেশের আকাশে মিথেন গ্যাসের একধরনের রহস্যময় ধোঁয়ার আভাস দেখা গেছে। মিথেন একটি গ্রিনহাউস গ্যাস, যা গত দুই দশকে কার্বন ডাই অক্সাইডের তুলনায় ৮০ গুণ বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। খবর ব্লুমবার্গ গ্রিনের।

বৃহস্পতিবার (এপ্রিল) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্যারিসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কায়রোস এসএএস বাংলাদেশের বায়ুমণ্ডলে মিথেন নিঃসরণের ১২টি সর্বোচ্চ হার শনাক্ত করেছে।

গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ পর্যবেক্ষক জিএইচএসস্যাট জানিয়েছে, তাদের দেখা এযাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী নিঃসরণ এগুলো।

বাংলাদেশের আকাশে ঘনীভূত মিথেনের চিত্র ধরা পড়েছে ব্লুফিল্ড টেকনোলজিস নামে আরেক পর্যবেক্ষকের নজরেও। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ইয়োতাম এরিয়েল বলেন, আমাদের বিশ্লেষণ বলছে, বিশ্বের কয়েকটি সর্বোচ্চ মিথেন নিঃসরণ ঘটছে বাংলাদেশে, যা স্যাটেলাইটে শনাক্ত করা যায়।

বাংলাদেশের পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের একটি সাক্ষাৎকারের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিথেন নিঃসরণের বিষয়ে বাংলাদেশ অবগত।

মন্ত্রী বলেন, এটি সম্ভবত ধানক্ষেত থেকে আসছে। কৃষকরা যখন তাদের ক্ষেত সেচ দেন, তখন জলাবদ্ধ মাটিতে ব্যাকটেরিয়া বিপুল পরিমাণ গ্যাস তৈরি করতে পারে। আরেকটা উৎস হচ্ছে ল্যান্ডফিল (ময়লা পুঁতে রাখা) গ্যাস। আমরা এটি কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি।

গ্লোবাল মিথেন ইনিশিয়েটিভের তথ্যমতে, গৃহপালিত পশু, তেল-গ্যাস শিল্প থেকে লিক হওয়া, ময়লার ভাঁগাড় ও কয়লার খনি হচ্ছে মিথেন নিঃসরণের মনুষ্যসৃষ্ট কয়েকটি স্বাভাবিক মাধ্যম।

এনভায়রনমেন্টাল ডিফেন্স ফান্ডের হিসাবে, বর্তমানে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের অন্তত এক-চতুর্থাংশের জন্য মানবসৃষ্ট মিথেন নিঃসরণ দায়ী।

স্বাদ-গন্ধহীন এই গ্যাস শনাক্ত করা বেশ কঠিন। ফ্রান্সভিত্তিক পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইডিএফের প্রধান বিজ্ঞানী স্টিভেন হ্যামবার্গ বলেন, বাংলাদেশের উপরে আমরা যে মিথেন ঘনীভূত হতে দেখেছি, এটি ইঙ্গিত দিচ্ছে- আমাদের আরও গবেষণা দরকার। নির্গমনের বিশ্বাসযোগ্য পরিমাণ এবং উৎস নির্ধারণের জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।