গত ১৫ এপ্রিল থেকে ভারতে শনাক্তের সংখ্যা দুই লাখের ওপরে ছিল। ৪১ দিন পর এই প্রথম এই সংখ্যা নেমেছে দুই লাখের নিচে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো তিন হাজার ৫১১ জন। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও এক লাখ ৯৬ হাজার ৪২৭ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত হয়েছেন দুই কোটি ৬৯ লাখ ৪৮ হাজার ৮৭৪ জন।
মঙ্গলবার (২৫ মে) এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে। সংক্রমণের দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে ভারতের অবস্থান বর্তমানে দ্বিতীয়তে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরো তিন লাখ ২৬ হাজার ৮৫০ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ৪০ লাখ ৫৪ হাজার ৮৬১ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। এরপর রয়েছে কর্ণাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু, উত্তর প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিশগড় ও রাজস্থান। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে শনাক্ত হয়েছেন ২২ হাজার ১২২ জন।
এদিকে বিশ্বের কোনো দেশে এক দিনে সর্বোচ্চসংখ্যক করোনা রোগী শনাক্তের রেকর্ড এখন ভারতের দখলে। গত ২২ এপ্রিলের আগপর্যন্ত এ রেকর্ড যুক্তরাষ্ট্রের দখলে ছিল। যুক্তরাষ্ট্রে গত জানুয়ারিতে এক দিনে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৯৭ হাজার ৪৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
ওয়ার্ল্ডোমিটারস শুরু থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের করোনাবিষয়ক হালনাগাদ তথ্য দিয়ে আসছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে ভারত। ভারতের পর রয়েছে ব্রাজিল। সম্প্রতি সংক্রমণের দিক দিয়ে ব্রাজিলকে টপকে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসে ভারত। আর মৃত্যুর দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পরেই রয়েছে ভারত।
ভারতে সংক্রমণের ‘বিস্ফোরণের’ জন্য করোনার ভারতীয় ধরনকে অনেকাংশে দায়ী করা হয়। করোনার ভারতীয় ধরনকে ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এ ছাড়া ভারতে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর যে হিসাব দেশটির সরকার দিচ্ছে, তার চেয়ে প্রকৃত সংখ্যা বেশি হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।