আন্তর্জাতিক

১শ’ বছর পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খাবে না ‘অ্যাপোফিজ’

(Last Updated On: )

২০০৪ সালে অ্যাপোফিজ গ্রহাণুটি আবিষ্কৃত হয়। এর পর থেকেই মহাকাশবিজ্ঞানীদের একটা আশঙ্কা তাড়া করে বেড়াচ্ছিলো যে, এই বুঝি সেটা পৃথিবীর ঘাড়ে এসে পড়লো। তবে আপাতত সেই ধরনের কোনো আশঙ্কা নেই বলেই জানিয়ে দিলো নাসা।

নাসার বিজ্ঞানীরা এবং অন্য মহাকাশ বিজ্ঞানীরা আগে জানিয়েছিলেন, এটাই পৃথিবীর জন্য সব চেয়ে বিপজ্জনক গ্রহাণু। এক্ষেত্রে ২০২৯ ও ২০৩৬ সালে পৃথিবীর উপর এসে পড়তে পারে অ্যাপোফিজ। যদিও পরে সেই পূর্বাভাস থেকে সরে আসে মহাকাশ সংস্থাটি।

মিশরের মিথোলজি অনুসারে অন্ধকার, ঝড়, ভূমিকম্প, মৃত্যুর দেবতা হলো এই অ্যাপোফিজ। সেই দেবতার নামানুসারেই এই গ্রহাণুটির নাম অ্যাপোফিজ। এর ধ্বংসাত্মক চরিত্রের দিকে তাকিয়েই হয়তো এই নাম দেওয়া হয়েছিলো এবং প্রথম থেকেই বলা হচ্ছিলো, গ্রহাণুটি পৃথিবীর জন্য বেশ বিপজ্জনক।

বিপদের আশঙ্কা তো আছেই। গত ৫ মার্চ পৃথিবীর ১৭ মিলিয়ন কিলোমিটার দূর দিয়ে গিয়েছে এটি। এর পর ২০২৯ সালে পৃথিবীর খুব কাছে আসবে। বিজ্ঞানীদের ঘোষণা, ২০২৯’র ১৩ এপ্রিল পৃথিবীর ৩২,০০০ কিলোমিটার দূর দিয়ে দৌড়াবে গ্রহাণুটি। তবে ২০৬৮ সালে গ্রহাণুটির সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ হলেও হতে পারে।

তবে এবার বিজ্ঞানীদের মতো আলাদা। নাসার তরফে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হলো, আপাতত এরকম কোনো মহাজাগতিক সংঘর্ষের আশঙ্কা নেই। অন্তত আগামী ১০০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর সঙ্গে অ্যাপোফিজের ধাক্কার কোনো ঘটনাই ঘটবে না। সূত্র: জি নিউজ।