আন্তর্জাতিক

স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে পর্তুগাল

(Last Updated On: )

যখনই ইউরোপসহ গোটা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো জনগণের চলাচল এবং ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করছে, তখনই আরেক দফা বিধি নিষেধ শিথিল করছে পর্তুগাল। গত বুধবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে নাগরিকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ৯০ শতাংশ বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান। এতে করে দেশটিকে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরবে।

প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তার ঘোষণা অনুযায়ী দুই ধাপে স্বাভাবিক হতে যাচ্ছে পর্তুগালের জীবনযাত্রা। প্রথম ধাপে আগামী ১৪ জুন থেকে টেলিওয়ার্ক আর বাধ্যতামূলক নয়। তাছাড়া, ওইদিন থেকে রেস্টুরেন্টের ভেতরে একই টেবিলে ৬ জন ও বাহিরে ১০ জন বসতে পারবে। মালিকরা রেস্টুরেন্টগুলো রাত ১টা পর্যন্ত খোলা রাখতে পারবে, যেখানে খাবারের অর্ডার নিতে পারবেন সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।

বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো আগের নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হতে পারবে। এবারে থাকছে না মহামারিতে আরোপিত সময় সংক্রান্ত কোনো বিধি নিষেধ, সুপার মার্কেট মিনি মার্কেটগুলো এর আওতাভুক্ত থাকবে। মিউজিয়াম বা সিনেমা হলগুলো মোট ধারণ ক্ষমতার ৫০ শতাংশ দর্শনার্থী নিয়ে খোলা রাখা যাবে। স্টেডিয়াম বা মাঠগুলোতে ৩৩ শতাংশ দর্শক নিয়ে খেলা পরিচালনা করা যাবে। তবে সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী ২৮ জুন থেকে নাগরিক সেবা কেন্দ্রগুলো পূর্বনির্ধারিত অ্যাপয়েনমেন্ট ছাড়াই সেবা প্রদান করতে পারবে। গণ-পরিবহনগুলো যাত্রী নিয়ে স্বাভাবিক নিয়মের মতো নির্দিষ্ট মাত্রায় চলাচল করতে পারবে। তবে ব্যতিক্রম সিদ্ধান্ত রয়েছে পানশালা ও ডিস্কোর জন্য। আগামী আগস্ট পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এজন্য ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের সহযোগিতা পাবে।

বর্তমানে পর্তুগাল করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণ করে অনেকটাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। দেশটিতে আগামী ২০ আগস্টে থেকে ৩০ বছর বয়সী নাগরিকদের করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু করবে। গত মঙ্গলবার দেশটির টিকাকরণ প্রচারণার সমন্বয়কারী হেনরিক গৌভেইয়া মেলোর লিসবনে একটি স্বাস্থ্য সম্মেলন থেকে বের হওয়ার সময় সংবাদ মাধ্যমের কাছে এ তথ্য দেন।