জাতীয়

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গোৎসব শুরু আজ

(Last Updated On: )

অপেক্ষার প্রহর শেষ। মণ্ডপে মণ্ডপে অধিষ্ঠিত হয়েছে দেবী দুর্গার প্রতিমা। আজ সোমবার ষষ্ঠী পূজার মধ্যে দিয়ে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। ঢাকের বাদ্য, কাঁসরের ঘণ্টা ও শঙ্খের ধ্বনিত মুখরিত হয়ে উঠবে পূজা মণ্ডপগুলো। উৎসবের শুরুতে বোধনের মাধ্যমে দক্ষিণায়নের নিদ্রিত দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙার জন্য বন্দনা পূজা করা হবে। এরপর আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে ষষ্ঠী পূজা। আগামী ১৫ অক্টোবর শুক্রবার দশমী পূজা শেষে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হবে। এবার সারাদেশে ৩২ হাজার ১১৮টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যার মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় ১ হাজার ৯৬৪টি এবং মহানগরে ২৭৭টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুর্গাপূজা।

গতকাল নগরীর পূজামণ্ডপগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, দুর্গোৎসব আয়োজনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। নানা রঙে সজ্জিত করা হয়েছে মণ্ডপগুলো। তবে করোনা মহামারীর কারণে এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে পূজা আয়োজন করা হয়েছে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে গতকাল রবিবার পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। দুর্গাপূজার সাথে মিশে আছে চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। তিনি আশা করেন, শারদীয় দুর্গোৎসবে সত্য-সুন্দরের আলোকে ভাস্বর হয়ে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যরে বন্ধন আরো সুসংহত হবে।
প্রধানমন্ত্রী দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী সকল নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবই নয়, এটি এখন সার্বজনীন উৎসব। অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের আরাধনা শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
এদিকে, গতকাল মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা আয়োজনে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তিনি নগরবাসীকে দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, প্রত্যেককেই অবশ্যই মাস্ক পড়ে মণ্ডপে আসতে হবে। প্রতিটি মণ্ডপে হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ প্রয়োজনী স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী নিশ্চিত করার জন্য তিনি আয়োজকদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
বিশুদ্ধ পঞ্জিকা অনুযায়ী, দেবী দুর্গা এবার আসছেন ঘোটকে অর্থাৎ ঘোড়ায় চড়ে। ঘোড়া এমন একটি বাহন যা যুদ্ধের সময়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ঘোড়ার পায়ের শব্দও যুদ্ধেরই ইঙ্গিত দেয়। অর্থাৎ এই সময়ে যুদ্ধ, অশান্তি, হানাহানির সম্ভাবনা থাকে। পঞ্জিকা বলছে, মা দুর্গার এবার দোলায় গমন। দোলায় গমনের ফলাফল হল মড়ক লাগা। তবে ভক্তদের আশা, মায়ের আরাধনায় দূর হবে সকল অশুভ শক্তি। আগামীবার করোনামুক্ত পৃথিবীতে আবারও আরাধনা করা হবে মা দুর্গার।