সংসার বাঁচাতে নিজের ৮ দিনের মেয়েকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্যামলী ঘোষ (৩৫) নামে এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামে গতকাল মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির পাশে একটি পুকুরে মৃত নবজাতকের লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। পরে তালা থানা পুলিশ গিয়ে পুকুর থেকে ওই নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের মানিক ঘোষের স্ত্রী শ্যামলী ঘোষ গত ২৫ মে রাত ৯টার দিকে একটি কন্যা শিশু প্রসব করেন। পরদিন বুধবার তার স্বামী মানিক ঘোষ বাড়িতে কাউকে কিছু না বলে নিরুদ্দেশ হন। গত সোমবার রাতে নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় মায়ের কাছ থেকে নবজাতক শিশুটিও হারিয়ে যায়। পরে গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি জানাজানি হয়। পরিবারসহ গ্রামের লোকজন সম্ভাব্য সব জায়গায় শিশুটিকে ব্যাপক খোঁজা-খুঁজি শুরু করে এবং বিষয়টি প্রশাসনকেও জানায়।
জানা গেছে, মানিক-শ্যামলী দম্পতির এর আগেও তিনটি কন্যা সন্তান আছে। এবারও তাদের কন্যা সন্তান হয়েছে। যে কারণে সদ্য ভূমিষ্ট নবজাতককে হত্যা করা হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তবে এলাকাবাসী বলছে ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, চতুর্থবারের মতো মেয়ে হওয়ায় খুশি হতে পারেননি মানিক ঘোষ। সেজন্যই তিনি বাড়ি ছাড়া হন। ধারণা করা হচ্ছে, সংসার টেকাতেই সদ্য ভূমিষ্ট সন্তানকে হত্যা করেন মানিকের স্ত্রী শ্যামলী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বিকাশ মন্ডল বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। শিশুটি হারিয়ে যাওয়ার খবর শুনে আমরা দিনব্যাপী ব্যাপক খোঁজাখুজি করেছি। পরে বাড়ির পুকুরে শিশুর লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দিলে তারা লাশটি উদ্ধার করে ও তার মাকে হত্যার সন্দেহে আটক করে।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেল জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুটির মাকে থানায় নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে এখন কিছুই বলা যাবে না।