নওগাঁর আত্রাই উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার সোয়েবের দুই হাত ও পায়ের রগ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
রোববার (১৬ মে) বিকেলে উপজেলার নিউমার্কেটের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।
সরদার সোয়েব উপজেলার পাথাইঝাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক খাজা রাফিউদ্দিন সরদারের ছেলে।
আত্রাই থানা সূত্রে জানা যায়, ঠিকাদার সোয়েবের সঙ্গে ব্যবসার লেনদেন ও রাজনৈতিক আধিপত্য নিয়ে আত্রাই উপজেলা যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠকি সম্পাদক মির্জা রাব্বীর বিরোধ রয়েছে। প্রতিদিনের মতো রোববার দুপুরের দিকে নিউমার্কেটে নিজের ঠিকাদারি কাজে ব্যবহৃত অফিসে আসেন সোয়েব। মির্জা রাব্বী হঠাৎ দলবল নিয়ে সেখানে গিয়ে সোয়েবের দুই হাত ও পায়ের রগ কেটে চলে যান। টের পেয়ে বাজারের লোকজন সোয়েবকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। অভিযুক্ত মির্জা রাব্বী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. মমতাজ বেগমের ছেলে।
এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের সভাপতি মো. খোদাদাত খান পিটু বলেন, অভিযুক্ত মির্জা রাব্বীকে অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য প্রায় তিন বছর আগে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জাকারিয়া হোসেন বলেন, চার হাত-পায়ের মধ্যে দুই হাত ও বাম পায়ের অবস্থা খুব খারাপ। অনেক রক্ত ঝরেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিকেল ৪টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, খবর পেয়ে নওগাঁ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে ফের সংঘর্ষ এড়াতে উপজেলা সদরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বাজারের সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মামলা হয়নি।