শিক্ষা

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উন্মুক্ত স্থানে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থঝুঁকি থাকে কম: শিক্ষামন্ত্রী

(Last Updated On: )

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বাইরে খোলা জায়গায় যে পরিমাণ স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে তার চেয়ে বেশি ক্লাসরুমে ও বদ্ধঘরে। বিজ্ঞান জানায়, খোলা উন্মুক্ত স্থানে কোভিডে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কম থাকে।

রোববার ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে অনেকেই আন্দোলনসহ বিভিন্ন হুমকি দিয়ে মেসেজ দিচ্ছেন। তবে তার চেয়ে অধিক মেসেজ পাই, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে জীবন বিপন্ন না করার। সংবাদ মাধ্যমের জরিপেও দেখা যায় অধিক সংখ্যকই বলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার বিষয়ে। জনপ্রিয়তা নয়, সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, বিশেষ করে যেখানে স্বাস্থ্যঝুঁকি বিদ্যমান। জনপ্রিয়তার চেয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া অধিক জরুরি।

পাঠদান, পরীক্ষা ও মূল্যায়ন একেবারে বন্ধ নেই জানিয়ে বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম অনলাইনে চলছে। এছাড়াও কয়েকটি পরীক্ষার চূড়ান্ত মূল্যায়ন, যাদের ডিগ্রি আটকে আছে, সেগুলো সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করতে ইউজিসির মাধ্যমে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, মঙ্গলবার ইউজিসির সঙ্গে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং জাতীয় পরামর্শক কমিটির সভা রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে, ইতোমধ্যে ১৩ জুন নির্ধারণ করেছি। বিশেষ করে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক খুলে দেওয়ার চেষ্টা করবে। বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হলগুলোতে যেহেতু অনেক ভিড়, স্বাস্থ্যবিধি মানার সুযোগ খুবই কম। তাই টিকাদান সম্পন্ন করে হল খোলার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল সংস্কারসহ স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছেন, এগুলো দ্রুত শেষ হবে। যেখানে আবাসিক হল নেই, সেগুলো দ্রুত খুলে দিতে পারি।

দীপু মনি বলেন, সীমাবদ্ধতার মধ্যেও দ্রুততম সময়ে অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে পেরেছি। শতভাগ সফলতা না থাকলেও ব্যাপকভাবে কার্যক্রম চালিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছি। করোনায় কিছুটা সেশন জট হবে এটা স্বাভাবিক। তবে বিগত সরকার আমলের ভয়াবহ সেশন জট জটিলাতা বর্তমান সরকার দুর করেছে। ফলে করোকালীন সংকটও দ্রুত সমাধান হবে বলে আশা করি।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন, গবেষনা উন্নতিকরণ, ল্যাবরেটরি ও কোর্স কারিকুলাম উন্নত করতে চাই। মডিউলার এডুকেশন বাস্তবায়ন করব। ব্লেন্ডেড এডুকেশন, অনলাইন এডুকেশনে আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর কেউ ক্যাম্পাসে না এসে নতুন নতুন স্কিল ডেভলপ করতে চাইলে তা যেন করতে পারেন সেই ব্যবস্থা এখন রয়েছে।