প্রধান পাতা

শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান এর ৫০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আগামীকাল

(Last Updated On: )

বোয়ালখালী উপজেলার বীরোচিত বিপ্লবী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান এর ৫০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আগামীকাল । ১৯৭১ সালের এই দিনে তিনি অসীম সাহসে বীর বিক্রমে উপজেলার কধুরখীলের খোকার দোকান এলাকায় পাকবাহিনীর ওপর গ্রেনেড ছুড়ে মেরেছিলেন। ওইদিন পাকবাহিনীর হাতে ধরা পড়েন তিনি। সেই সংগ্রামী বীর মুক্তিযোদ্ধা ৭১ সালের ৪ আগস্ট পাকবাহিনীর হাতে শহীদ হন। (তথ্য সূত্র দৈনিক পাকিস্তান, পূর্বদেশ,ইওেফাক ১৯৭১)।

১৯৫৬ সালের ২০ শে মে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার পোপাদিয়া ইউনিয়নের আকুবদনডী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন অকুতোভয় বীরোচিত আত্মত্যাগী এখলাছ।তাঁর পিতা মরহুম সৈয়দ জামাল উদ্দীন মাতা মরহুমা সৈয়দা মছুদা খাতুন। স্বাধীনতা সংগ্রামের উজ্জ্বল নক্ষত্র শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান ক্যাপ্টেন করিমের গড়া বাহিনী ও ৬৯এর ছাত্র মিছিলে অগ্রনীভূমিকা পালন করেছিলেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি কধুরখীল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।সরাসরি যুক্ত ছিলেন তৎকালীন প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে। উল্লেখ্য তৎকালীন স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজের অধ্যাপক দিলীপ চৌধুরী গ্রুপের অন্যতম মুক্তি যোদ্ধা ও প্রবীন শিক্ষাবিদ রফিক আহমদ শহীদ এখলাছের ভগ্নিপতি। সাধারণ মানুষের উপর পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর নির্মমতা ও এদেশীয় সহযোগীদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে গ্রেনেড ছুড়ে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন এ গেরিলা যোদ্ধা।

দেশ স্বাধীনের পর তাঁর স্মৃতি বিজড়িত বিদ্যাপীঠ কধুরখীল উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনকে নামকরণ করা হয় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এখলাছ মিলনায়তন। ইকবাল পার্কের নাম পরিবর্তন এনে করা হয়েছিল শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এখলাছ পার্ক। এছাড়া একটি সড়কের নামকরণ করা হয় এই মহান বীর শহীদের নামে। ১৯৯৭ সালে মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কতৃক সনাক্ত করা হয়েছিল মুক্তি / কবর/ বো-১১৮ তবে আজো দৃশ্যমান হয়নি, ইতিহাসের বৃহৎ অংশ এ মহান বীর শহীদের নাম রয়েছে কাজেই দেশমাতৃকার অতুলনীয় আত্মত্যাগের জন্য লাল সবুজের পতাকা জুড়ে ও স্মৃতির দর্পনে চির উজ্জ্বল হয়ে থাকবেন।