প্রধান পাতা

লকডাউনে বেড়েছে অনলাইন জুয়া

(Last Updated On: )

সারা দুনিয়ার কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী আজ সবচেয়ে বড় ‘অ্যাডিকশন হলো সম্ভবত কম্পিউটার-স্মার্টফোন-অনলাইন-ইন্টারনেটের নেশা। কিন্তু তা থেকে বাঁচার উপায় কি আছে?

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সাড়া দেশের ন্যায় পিরোজপুরের নাজিরপুরেও লকডাউন থাকায় স্কুল-কলেজ বন্ধ। এ কারণে কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী ঝুঁকে পড়েছে অনলাইন ক্রিকেট জুয়া এবং গেমসে। যেখানে কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীদের পড়ার টেবিলে থাকার কথা, সেখানে তারা মোবাইল কম্পিউটার নিয়ে ব্যস্ত। মাঠের পাশে, স্কুলের বারান্দায়, নির্জন এলাকায়, ব্রিজের উপর সন্ধ্যার পরপরই বেশি দেখা যায় তাদেরকে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত। আবার এ নিয়ে কারও কারও সঙ্গে তর্ক ঝগড়াঝাটি, মারামারি ইত্যাদি যেন লেগেই থাকে। এতে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে অভিভাবকরাও।

অভিভাবকদের অভিযোগ, রাত পোহাবার সাথে সাথে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই প্রথম আবদার প্রতিনিয়ত ছেলে-মেয়েদের টাকা দিতে হবে। আর এ টাকা না দিলে তাদের মেজাজ যেন হয়ে যায় উগ্র। ভেঙে ফেলে ঘরের আসবাবপত্রসহ মূল্যবান জিনিসপত্র। এমনকি ঘরের সোনা-গহনাও চুরি করতে দ্বিধাবোধ করে না। বাধ্য হয়ে অভিভাবকরা টাকা দিতে রাজি হয়।

মূলত ইন্টারনেট গেমস আসক্ত অন্যান্য নেশাজাতীয় দ্রব্য (ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজা, মদ ইত্যাদি) আসক্তির মতই। পার্থক্য হচ্ছে এটি আচরণগত আসক্তি আর অন্যান্য নেশাজাত দ্রব্যের আসক্তি বা রাসায়নিক আসক্তি। মস্তিস্কের যে অংশে (রিওয়ার্ড সেন্টার) ইয়াবা বা গাঁজার মতো দ্রব্যর প্রতি আসক্তি জন্ম নেয় ঠিক সেই অংশেই ইন্টারনেট বা গেমের প্রতি আসক্তি জন্মায় তাই একে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। এই আসক্তির কারণে পারিবারিক জীবনে নেমে আসে অশান্তি ও বাধা। বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খারাপ হয় সম্পর্ক।

অভিভাবক ও স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, বিষয়টি প্রশাসন যেন তাদের নজরে নেয় এবং এ জুয়া ও গেমস থেকে যেন কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীদের বাঁচাতে পারে।