আন্তর্জাতিক

রিজার্ভ চুরি: নিউইয়র্কের আদালতে বাংলাদেশের মামলা খারিজ


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ উদ্ধারে করা মামলা খারিজ করে দিয়েছে নিউইয়র্কের সুপ্রিম কোর্ট।

রিজার্ভ চুরির বিষয়ে ‘প্রয়োজনীয় এখতিয়ারের অভাবে’ চুরি যাওয়া অর্থের বড় একটি অংশ উদ্ধারে ২০২০ সালে করা এ মামলাটি খারিজ করা হয়।

রিজার্ভের অর্থ চুরির বিষয়ে ২০১৬ সালে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশকারী ফিলিপাইনের সংবাদমাধ্যম ডেইলি ইনকোয়ারার এ বিষয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

নিউইয়র্কের সর্বোচ্চ আদালত গত ৮ এপ্রিল এ রায় দেয় বলে সোমবার ফিলিপাইন স্টক এক্সচেঞ্জকে (পিএসই) জানিয়েছে এর তালিকাভুক্ত কোম্পানি ব্লুমবেরি রিসোর্টস করপোরেশন।

২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। পরে ওই টাকা তারা ফিলিপাইনের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকে পাঠিয়ে দেয়।

চার বছর পর ২০২০ সালে ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার উদ্ধারে এ মামলা করেছিল বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

দেশীয় কোনো চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করেছে বলে তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধারণা করছেন। এর পেছনে উত্তর কোরীয় হ্যাকারদের সংশ্লিষ্টতার তথ্যও এসেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে।

এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মামলা করেন।

পরে তদন্তে নামে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রতিবেদন জমা দিতে ২০১৬ সালের ১৯ এপ্রিল প্রথমবারের মতো দিন ঠিক করে দেয় আদালত।

এরপর থেকে দফায় দফায় সময় আবেদন করে প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়েছে সিআইডি।

এর আগে, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বছর মার্চে সে মামলাও খারিজ হয়ে যায়।

রিজল ব্যাংক থেকে অর্থ তুলে একটি ক্যাসিনোতে নিয়ে যাওয়ার খবর প্রকাশের পর সেই ক্যাসিনো মালিকের কাছ থেকে দেড় কোটি ডলার উদ্ধার করে বাংলাদেশ সরকারকে বুঝিয়েও দেয় ফিলিপাইন। বাকি অর্থ উদ্ধারে ফের আইনি প্রক্রিয়ায় যায় বাংলাদেশ।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন মুখপাত্র জানান, তারা মামলার রায়ের বিষয়টি জেনেছেন। রায়ের কপি পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।