বরগুনায় মেয়ে মহাসিনা মিতু ও তার পিতা বর্তমান পৌর মেয়র মো. শাহাদাত হোসেন দুজনেই মেয়র পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর ) বিকেল ৫টার দিকে বরগুনা জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে বর্তমান পৌর মেয়র মো. শাহাদাত হোসেনের মেয়ে মহাসিনা মিতু মেয়র পদে তার মনোনয়পত্র দাখিল করেন।
এর আগে মেয়র শাহাদাত হোসেনও মেয়র পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পিতা ও মেয়ে দুজনই স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। অপরদিকে মেয়ে ও পিতাসহ বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে মোট ১০ জন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৪ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলকৃত ১০ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে অন্যরা হলেন, আওয়ামীলীগ থেকে মো. কামরুল আহসান মহারাজ, বিএনপি থেকে এ্যাডভোকেট মো. আবদুল হালিম, জাতীয় পার্টি থেকে মো. আব্দুল জলিল হাওলাদার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মাওলানা জালাল উদ্দিন, স্বতন্ত্র মো. শাহাবুদ্দিন, মো. জসিম উদ্দিন, মো. সিদ্দিকুর রহমান, মো. নিজাম উদ্দিন। এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৫ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদের ১৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন, মেয়র শাহাদাত হোসেন বরগুনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ২০১৫ সালেও মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে দলীয় প্রার্থী কামরুল আহসান মহারাজকে টাকার জোরে নির্বাচনের দিন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দলীয় প্রার্থীকে আহত করে ভোট কেটে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। এবারও শাহাদাত হোসেন দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে নিজে স্বতন্ত্র, মেয়ে মিতু ও তার সমর্থক নিজাম উদ্দিনকে দিয়ে স্বতন্ত্র মনোনয়ন দাখিল করিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, দল করবেন, দলের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন, নিজের লোকজন নিয়ে লুটপাট করবেন; আর নির্বাচন আসলে টাকার জোরে নির্বাচন করবেন। এবার দলের সব নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ। তার (শাহাদাত) সব ষড়যন্ত্র এবার মোকাবেলা করা হবে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমাকে যেকোনো সময় মেরে ফেলতে পারে। এ কারণে আমার মেয়েকে দিয়ে মনোনয়ন দাখিল করাতে বাধ্য হয়েছি।
প্রসঙ্গত, আগামীকাল ৩ জানুয়ারি প্রার্থিতা বাছাই। ১০ জানুয়ারি প্রত্যাহার ও ৩১ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে। এ পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ২৫ হাজার।