বরগুনার তালতলীতে মেয়ের আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় লজ্জায় এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিবেশী এক কিশোরের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি, ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করা হয়েছে।
আজ রোববার ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে তালতলী থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় একামাত্র আসামি করা হয়েছে অভিযুক্ত কিশোর আসাদুল ইসলামকে।
আসাদুল ইসলাম একই উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের লাউপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, মামলার পর আজ অভিযুক্ত আসাদুলকে আটক করেছে র্যাব। গনমাধ্যমে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-৮-এর কোম্পানি অধিনায়ক তুহিন রেজা এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, আসাদুলকে পটুয়াখালীর মহিপুর টোল প্লাজা এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানায় তাকে হস্তান্তরের আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসাদুল ইসলাম ওই কিশোরীকে স্কুলে আসা- যাওয়ার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিত। একপর্যায়ে ওই কিশোরীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখে আসাদুল। সম্প্রতি ওই ভিডিও এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গত বুধবার ওই কিশোরীর মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবুও মানসম্মানের কথা ভেবে গত বৃহস্পতিবার সকালে আসাদুলকে ডেকে ছবি-ভিডিও ডিলিট করার অনুরোধ করেন ওই গৃহবধূ। কিন্তু আসাদুল তাতে রাজি না হয়ে উল্টো হুমকি দেওয়াসহ তাকে লাঞ্চিত করার ভয় দেখান। এতে মানসম্মানের কথা ভেবে ওই গৃহবধূ সকলের অগোচরে ব্যাটারির এসিড পান করে আত্মহত্যা করেন।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, আজ কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, আত্মহত্যার প্ররোচনাসহ ধর্ষণের স্থিরচিত্র ও ভিডিও ধারনের অপরাধে মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।