জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়া দর্শকের নাম রাসেল। নিরাপত্তা বেষ্টনী টপকে মাঠে থাকা পেসার মুস্তাফিজের কাছে ছুটে যান তিনি। সেই ঘটনায় রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিরপুর মডেল থানায় নেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সাজা হবে রাজধানীর আদাবরের এই বাসিন্দাকে।
মিরপুর জোনের পেট্রোল ইনেসপেক্টর মোহাম্মদ মাহফুজুল হক বকশি বলেন, ‘আইনগতভাবে যেটি ঘটার সেটিই ঘটবে। আমরা প্রথম যে কাজটি করেছি, ঘটনা ঘটার পরেই আমরা তাকে হেফাজতে নিয়ে নিয়েছি। আমাদের ডিসি স্যার ছিলেন, উনি সঙ্গে করেই থানায় নিয়ে গেছেন।’
নিরাপত্তা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের সিকিউরিটি লেবেল তো আসলে ভালোই ছিল। জৈব সুরক্ষা বলয়ের কারণে আমাদের যেখানে যেখানে প্রবেশ করা সম্ভব আমরা সব জায়গায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। ও মূলত টিকিট কেটেই ঢুকেছিল। ওর পরিকল্পনাই ছিল। ও মুস্তাফিজুর রহমানের পাগল ফ্যান। তো পরিকল্পনা করেই ঢুকেছিল। টিকিট কেটে তার জায়গাতেই ঢুকেছিল, হঠাৎ করে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে।’
জানা গেছে, কুমিল্লা শহরে বাড়ি রাসেলের। বাবার নাম জাকির হোসেন। ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যলয়ের ছাত্র তিনি।
উল্লেখ্য, করোনাকাল পেরিয়ে দীর্ঘ সময় পর স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার সুযোগ পেয়েছে দর্শকরা। কিন্তু এই সুযোগে এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়ে বসলেন এক দর্শক। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শনিবার (২০ নভেম্বর) বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ চলাকালীন সময়ে হুট করেই শেকল পেরিয়ে মুস্তাফিজুর রহমানকে উদ্দেশ করে মাঠে ঢুকে গেলেন এক দর্শক।
নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে আটকানোর চেষ্টা করলেও তিনি সবাইকে এড়িয়ে মাঠে ঢুকে বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের দিকে ছুটে যান। আম্পায়ার ও খেলোয়াড়রা তাকে বারবার মাঠ থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য বলছিলেন। নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে মাঠ থেকে বের করার আগে মুস্তাফিজের পায়ে সালাম করেন ওই ভক্ত। পরে তার পেছন পেছন আসা নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে আটক করে।