অভিনেত্রী পরীমনিকে মদসহ আটকের পর র্যাব অভিযান চালাচ্ছে চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বনানীর বাসায়। এই প্রযোজক আলোচনায় এসেছিলেন কয়েক মাস আগে রাজধানীর গুলশানের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থেকে তরুণী মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধারের পর। তার সঙ্গে মুনিয়ার একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে মুনিয়ার পাশে বসে রাজ চুম্বন দিচ্ছেন।
চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা তখন জানিয়েছিল, মুনিয়ার সঙ্গে রাজের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তিনিই মুনিয়াকে একটি নাটকে অভিনয়ের সুযোগ করে দেন। তবে শিডিউল ফাঁসানোর কারণে নাটকটি শেষ পর্যন্ত শেষ হয়নি।
এদিকে অন্তরঙ্গ ছবি ফাঁসের ঘটনায় নজরুল ইসলাম রাজ তখন জানিয়েছিলেন, মুনিয়ার পরিবারের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক ছিল। তিনি প্রায়ই তাদের বাসায় যেতেন। সেখান থেকেই তাদের সম্পর্ক হয়। মুনিয়াকে তিনি মিডিয়ায় এনে কাজের সুযোগ করে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মুনিয়া হঠাৎই তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
তখন রাজ দাবি করেন, তিনি চলচ্চিত্র অঙ্গনের অনেককে নায়িকা বানিয়েছেন। যেমন পরীমনিও তার সৃষ্টি।
বুধবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বিলাসবহুল বাড়িতে অভিযান শুরু করে এলিট ফোর্স র্যাব। প্রায় চার ঘণ্টার অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মদ, ভয়ংকর মাদক এলএসডি, আইসসহ পরীমনিকে আটক করা হয়। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার গাড়ি চালক ও দারোয়ানকে আটক করা হয়। পরে পরীমনিকে সাদা রঙের একটি হাইস গাড়িতে করে র্যাবসদরদপ্তরে নেওয়া হয়।
এরপরই নজরুল ইসলাম রাজের বাড়িতে অভিযান শুরু করে র্যাব। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাজের বনানীর বাড়িতে অভিযান চলছিল।