নারায়ণগঞ্জের রয়েল রিসোর্টে শনিবার (৩ এপ্রিল) হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সময় তাকে এক নারীসহ আটক করা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। কিছু সময় পর ওই রিসোর্টে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে মামুনুলকে মুক্ত করে নিয়ে যান কয়েক হাজার হেফাজতকর্মী।
এ বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলাম ডাকসুর সাবেক জিএস ও ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
গোলাম রাব্বানী বলেন, সোনারগাঁও এর রয়েল রিসোর্টের ঘটনা ও ফোনালাপগুলো দিবালোকের স্পষ্ট করে দিয়েছে যে মামুনুল হক সাহেব বিবাহবহির্ভূত অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে ধরা খেয়ে দুর্বল স্ক্রিপ্টে বিয়ের মিথ্যা গল্প সাজিয়েছেন, নিজে পরকীয়ার সাথীকে ও বৌকে শিখিয়ে দিচ্ছেন, বোনকে দিয়ে বৌকে শেখাচ্ছেন কি কি বলতে হবে! এই ইস্যুতে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার আর কোন সুযোগ নেই, যারা বোঝার ক্রিস্টাল ক্লিয়ার বুঝে গেছেন।
তিনি বলেন, তবে এটা বলতে ও স্বীকার করতে হবে, মামুনুল হক এন্ড গং এর অন্ধ মুরিদদের বুকের পাটা আছে, তাদের ভন্ড নেতা ও আদর্শের প্রতি কমিটমেন্ট আছে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে জেনার মতো গর্হিত অপরাধ করার পরও তারা হামলা-ভাঙচুর করে গায়ের জোরে তাদের হুজুরকে ঠিকই ঘটনাস্থল থেকে বের করে নিয়েছে। তারা নৈতিকভাবে চরম প্রশ্নবিদ্ধ হলেও ফুল কমিটেড।
সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, আমাদের আদর্শিক কোন সহযোদ্ধা এমন গর্হিত অন্যায় তো দূরের কথা, কেউ মিথ্যা অভিযোগে বা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে যদি এমন পরিস্থিতিতে পড়তো, তবে আমাদের নেতারা জানার পরে সাহায্য করা তো দূরে, আর যোগাযোগই রাখতো না! সত্য-মিথ্যা যাচাই না করেই মিডিয়ায় ফলাও করে বলতো, চিনিনা, জানি না, দলের কেউ না ব্লা ব্লা ব্লা।
রাব্বানী বলেন, এমন বহু ঘটনা আছে, আমাদের দলীয় নেতাকর্মীরা অন্যায় না করে বিনা দোষে শাস্তি পাচ্ছে আর নিজ দলের লোকজনই সে দুঃসময়ে সহানুভূতি-সহযোগিতা-সমর্থনের বদলে টিপ্পনী কাটে, খোঁচা মারে, পারলে আরেকটু বিপদে ঠেলে দিয়ে নিজের আখের গোছায়!
এটাই আমাদের আদর্শিক শক্তি আর কমিটমেন্টের অবস্থা! আমরা কি এমন আদর্শ চেয়েছিলাম?