তাঁরা পেশাদার নভোচারী নন। নেই মহাকাশ গবেষণার সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা। একেবারেই সাধারণ পর্যটক হিসেবে চারজন বেড়িয়ে এলেন মহাকাশ থেকে। ফিরে এসেছেন টানা তিন দিন পৃথিবীর কক্ষপথে পরিভ্রমণ করে। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাতটার পর যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের উপকূলে অবতরণ করেন তাঁরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, দল বেঁধে চার সাধারণ নাগরিকের মহাকাশ ভ্রমণের ঘটনা এই প্রথম। পৃথিবীর বাইরে ভ্রমণের এ সুযোগ করে দিয়েছে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্স। মিশনটির নাম দেওয়া হয় ‘ইনসপাইরেশন ফোর’। গত বুধবার ওই চার পর্যটককে নিয়ে ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরালের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে পৃথিবী ছেড়ে যায় স্পেস এক্সের একটি রকেট।
ইনসপাইরেশন ফোর মিশনের কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান শিফটফোর পেমেন্টস ইনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যারেড আইজ্যাকম্যান (৩৮)। সফরে তাঁর সঙ্গ দেন সিয়ান প্রক্টর (৫১), হ্যালি আর্সেনক্স (২৯) ও ক্রিস সেমব্রক্সি (৪২)। আইজ্যাকম্যানের এই তিন সঙ্গীকে বিশেষ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়।
মহাকাশযাত্রায় চার পর্যটকের আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) কাছাকাছি যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তবে তাঁরা ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫৭৫ কিলোমিটার উচ্চতায় ওঠেন। পুরো অভিযানে তাঁদের কোনো বিপত্তির মুখেও পড়তে হয়নি। ভ্রমণ শেষে গতকাল শনিবার আটলান্টিক মহাসাগরের বুকে নামার পর উচ্ছ্বসিত আইজ্যাকম্যান এক রেডিও বার্তায় বলেন, ‘এটি একটি অসাধারণ যাত্রা ছিল।’
মহাকাশ ভ্রমণের জন্য গুনতে হয়েছে বিপুল অর্থ। তিন দিনের পর্যটনের ব্যবস্থা করে দিয়ে ইলন মাস্কের পকেটে ঢুকেছে ২০ কোটি মার্কিন ডলার (টাইম ম্যাগাজিনের হিসাবে)। এর পুরোটাই অবশ্য দিয়েছেন জ্যারেড আইজ্যাকম্যান। স্পেস এক্স এ নিয়ে তৃতীয়বার সফল মহাকাশযাত্রা করল।