জাতীয়

ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইনে টিকা পাবে ৩২ লাখ মানুষ


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকাতে আগামীকাল (৭ আগস্ট) থেকে শুরু হওয়া ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইনে ৩২ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সিটি করপোরেশন, ইউনিয়ন-ওয়ার্ড ও বিভিন্ন অঞ্চল ভেদে ৭ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত চলবে এই ক্যাম্পেইন।

শুক্রবার (৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় মহাখালীর বিসিপিএস প্রাঙ্গণে দেশব্যাপী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।

তিনি বলেন, ৭ আগস্ট থেকে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগণকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ক্যাম্পেইনে সারাদেশের ৪৬০০টি ইউনিয়নে, ১০৫৪টি পৌরসভায় এবং সিটি করপোরশেন এলাকার ৪৩৩টি ওয়ার্ডে ৩২৭০৬ জন টিকাদানকারী এবং ৪৮৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে একযোগে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান করা হবে।

খুরশীদ আলম বলেন, ১৮ বছর বয়সীদের অনেকের আইডি কার্ড নেই। এতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। তাই বয়স ১৮ না করে ২৫ নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে যারা আগে রেজিস্ট্রেশন করেছেন তারা যেখানে কেন্দ্র নির্ধারণ করেছেন সেখানে টিকা নেবে। ক্যাম্পেইনের টিকাদান আলাদাভাবে পরিচালিত হবে।

তিনি আরো বলেন, যেকোনো ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম সুনির্দিষ্টভাবে প্রদানে পরিকল্পনা করা সম্ভব হয় না। আমরা আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী পরিকল্পনা তৈরি করেছি। দেশে টিকার ঘাটতি থাকলেও সবাইকে টিকা প্রদানে সরকার বদ্ধপরিকর। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৯৯ হাজারে অধিক মানুষকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, কোভেক্সসহ বিভিন্ন টিকা উৎপাদনকারীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। দেশেও টিকা উৎপাদনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। নেতিবাচক চিন্তা ও কুসংস্কার পরিহার করে টিকা গ্রহণের মাধ্যমে করোনা প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান করছি।

ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টিকাকে কেন্দ্র করে সারাবিশ্বেই রাজনীতি রয়েছে। ইতোমধ্যেই টিকা প্রদানের পরিমাণ বেড়েছে। গত দশদিনে ৩০ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। বড় আকারে ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন না করতে পারলে বিরাট জনগোষ্ঠীকে কাভার করা যাবে না। এটা আমাদের কাছে একটি পাইলট প্রোজেক্ট। এ থেকে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করব।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, এমআইএস পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান, ইপিআই কর্মসূচির ব্যবস্থাপক ডা. মওলা বক্স চৌধুরী প্রমুখ।