মাগুরা সোনালী ব্যাংকের সদর শাখায় পেনশনের টাকা তুলতে এসেছিলেন রাবেয়া খাতুন (৮৫)। কিন্তু প্রতারকের খপ্পরে পড়ে সব টাকা হারিয়ে এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে মাগুরা শহরের কলেজ রোডের সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
রাবেয়া খাতুনের বাড়ি সদর উপজেলার আলোকদিয়ার মুন্সী বাড়ি এলাকায়।
তিনি জানান, তার স্বামী গোলাম রসূল সদর উপজেলার বাগবাড়িয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ১০ বছর আগে তার মৃত্যু হয়েছে। প্রতি মাসের মতো তিনি চলতি জানুয়ারি মাসের পেনশনের টাকা তুলতে ব্যাংকে যান।
আট হাজার ৭৫০ টাকা তুলে তিনি ব্যাংক থেকে বের হচ্ছিলেন। সেসময় এক ব্যক্তি তার নোটে সমস্যা আছে বলে পরিবর্তন করে দেওয়ার কথা বলে।
টাকাগুলো হাতে নিয়েই মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায় সেই ব্যক্তি। বৃদ্ধ বয়সেও তাকে দৌড়ে ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু পারেননি। ডাক-চিৎকার করেও কোনো লাভ হয়নি।
রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘আমার চার ছেলের মধ্যে ছোট দুটি জমজ। তারা প্রতিবন্ধী। বড় ছেলেদুটি করোনার কারণে বেকার হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় স্বামীর পেনশনের টাকায় কোনোমতে সংসার চলছে। এ মাসে কীভাবে সংসার চালাব ভাবতে পারছি না।’
তার এ দুর্দশা দেখে আশপাশের কয়েকজন এগিয়ে যান। তার ব্যাগে পুরনো একটি মোবাইল ফোন ছিল। তবে আলোকদিয়ার মুন্সি বাড়িতে তার নিজ বাড়ি ফেরার গাড়ি ভাড়া ছিল না। স্থানীয় এক ব্যক্তি তাকে সহায়তা করতে কিছু টাকা দেন। টাকা হাতে নিয়ে অঝরে কেঁদে ফেলেন রাবেয়া।
মাগুরা সোনালী ব্যাংকের সহকারী মহা ব্যবস্থাপক (এজিএম) রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা ব্যাংকের সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে অপরাধিকে শনাক্ত করতে পুলিশকে সহায়তা করছি।’
মাগুরা সদরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জয়নুল আবেদিন জানান, এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ না পেলেও অপরাধিকে শনাক্ত করতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।