বোয়ালখালীতে আমার ভোটাররা প্রশাসনের চাপে ভোট দিতে পারেননি। এমন অভিযোগ করেছেন বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদ নির্চবাচনে চেয়ারম্যান পদে দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রেজাউল করিম।
আজ বিকালে উপজেলা সদরের তাঁর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলন তিনি ইউএনও, নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা, বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ও তার প্রতিদন্দ্বী প্রার্থী হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী জাহেদুল হকের বিরদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভংগের অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ওসি, এবং জাহেদুল হক তিন জনে মিলে আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করেছে। যার ভিডিও ফুটেজ আমার কাছে আছে। তার প্রমান স্বরূপ ওসি নিজেই শ্রীপুর খরনদ্বীপ ইউনিয়নে আমার ভোটারদের ভোট দিতে দেয়নি। লাটি চার্জ করেছে। আমি পুলিশ সুপারকে অবহিত করেছি। তাছাড়া নির্বাচনের পূর্বে জাহেদুল হক বারংবার নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্গন করেছে। যা আমি জেলা নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা বরাবরে বিভিন্ন সময় অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাইনি। এ ব্যাপারে আমি নির্বাচনে পরাজিত হলে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহন করবো।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ৮৬টি কেন্দ্রে বুধবার ২৯ মে সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। দিনভর চলে ভোটগ্রহণ। তবে উপজেলার দুই একটি কেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াসহ জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিলো কম। কেন্দ্রের বাইরে প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে । মাঝে মাঝে দুই একজন ভোটার কেন্দ্রে আসছিলেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্ন কর্মকর্তা মঈনুল হক বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে উপজেলা ৮৬টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুইএকটি কেন্দ্রের বাইরে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিলো। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
