বোয়ালখালীতে প্রবাসী আব্দুস সালামকে গলা কেটে হত্যার দায়ে তার ভাই মো: আজমকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে ওই প্রবাসীর মা ও বোনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।চট্টগ্রামের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ অশোক কুমার দত্ত বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা পিপি লোকমান হোসেন চৌধুরী জানান, সম্পত্তি ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে সালামকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী পারভিন আক্তার সালামের বাবা, মা, ভাই ও বোনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
তিনি জানান, আসামিদের মধ্যে আজম শুরু থেকেই পলাতক আছেন। মা ফরিদা ও বোন কামরুন নাহার যুক্তিতর্ক শুনানি পর্যন্ত আদালতে নিয়মিত হাজির ছিলেন। অপর আসামি সালামের বাবা আব্দুর রাজ্জাক বিচার চলাকালীন মৃত্যুবরণ করায় মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
মামলার এজাহার জানায়, বিদেশফেরত সালামকে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে ২০০৯ সালে ১৯ অক্টোবর নিজ বাড়িতে তার বাবা, মা, ভাই ও বোন মিলে গলা কেটে হত্যা করেন। ঘটনার দিন সকালে সালাম তার বাড়ির সামনে ভেঙে যাওয়া গোয়াল ঘর ঠিক করছিলেন। এ সময় আসামিরা বাধা দেন। এর জের ধরে পরে দুপুরে সালাম তার স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ভাত খাওয়ার সময় আসামিরা তার ঘরে ঢোকেন। সালামকে মাটিতে ফেলে রাজ্জাক মাথা এবং ফরিদা ও কামরুন নাহার হাত-পা চেপে ধরেন। আর আজম ছুরি দিয়ে কণ্ঠনালীতে আঘাত করেন।
হত্যাকাণ্ডের পরপর আজম ও তার বাবা রাজ্জাক পালিয়ে গেলেও স্থানীয় লোকজন ফরিদা ও কামরুন নাহারকে আটক করে পুলিশে দেন। পলাতক থাকা অবস্থায় রাজ্জাক মারা যান।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ ২০১০ সালের ৯ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। একই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর আদালত অভিযোগ গঠন করে। মামলার ২১ সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার আদালত এই রায় দেয়।