জাতীয়

বিয়ের দাবি নিয়ে বাড়িতে যাওয়ায় তরুণীকে মারধর

(Last Updated On: )

পটুয়াখালীর বাউফলে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার বিচার চাইতে গিয়ে তিন দফায় মারধরের শিকার হয়েছেন ওই ভুক্তভোগী। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে বাউফল উপজেলার একটি ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে।

ওই তরুণীর অভিযোগ, তিন বছর আগে প্রতিবেশী মো. রাব্বি (২৩) নামের এক যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। সর্বশেষ গত এক মাস আগে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন রাব্বি। পরে বিয়ে করতে বললে তাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন।

নিরুপায় হয়ে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি রাব্বির বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের বিষয়টি তার (রাব্বি) বাবা-মাকে জানান এবং বিয়ের দাবিতে ওই ঘরে অবস্থান নেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আজ বিকেল পর্যন্ত রাব্বির পরিবারের লোকজন ওই তরুণীকে তিন দফা মারধর করেন। ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই তরুণী।

ওই তরুণীর মা অভিযোগ করেছেন, মেয়েকে মারধরের খবর পেয়ে তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ গিয়ে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। তিনি আরও বলেন, রাব্বির চাচা স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্রভাবশালী। তিনি এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করার হুমকি দিয়েছেন।

এ ঘটনার পর ঘরে তালা লাগিয়ে রাব্বি ও তার পরিবারের লোকজন গা ঢাকা দিয়েছেন। এ কারণে রাব্বির সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

তবে তার চাচা ইউপি সদস্য মো. শাহজাহান মুঠোফোনে বলেন, ‘শুনেছি প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু মেয়ের বয়স কম, ১৮ বছর হয়নি। তাই আমার পক্ষে বিয়ে পড়ানো সম্ভব না। বিয়ে দেওয়ার বয়স না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছি। কিন্তু মেয়ের অভিভাবকেরা তা মানতে চান না।’

ওই তরুণীকে মারধরের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘হাত ধরে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। মারধর ও মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগ সত্য না।’

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, ‘তরুণীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’