শহরাঞ্চলে বসবাসকারী ২১ শতাংশ মানুষকে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। আজ সোমবার জাতীয় সংসদে এম. আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, পৌরসভাগুলোতে সুপেয় পানির জন্য দেশের অধিকাংশ পৌরসভায় পয়েন্ট সোর্সের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু আছে। অধিকাংশ পৌরসভায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। পৌরসভাসমূহে পানি সরবরাহ কভারেজ প্রায় ৯৯ দশমিক ৬ শতাংশ, যার মধ্যে পয়েন্ট ওয়াটার সাপ্লাই ও পাইপড ওয়াটার সাপ্লাইয়ের মাধ্যমে যথাক্রমে ৬১ দশমিক ৬ শতাংশ ও ৩৮ শতাংশ জনগণ পানি সরবরাহ সুবিধা পাচ্ছে (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও ইউনিসেফের যৌথ জরিপ প্রতিবেদন মাল্টিপল ইনডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে ২০১৯ অনুয়ায়ী)।
তিনি জানান, পর্যায়ক্রমে সব পৌরসভায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা চালু করতে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, বর্তমানে প্রায় ১৫৯টি পৌরসভায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু আছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে ৯৬টি পৌরসভায় বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ কার্যক্রম বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
ভবিষ্যৎপরিকল্পনা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ১৮টি জেলা শহরে ‘ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি সরবরাহ প্রকল্প’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাবিত রয়েছে। ওই প্রকল্পের আওতায় ৩৬টি ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি শোধনাগার, ৩৬টি উচ্চ জলাধার, ১৫৩৪ কি.মি. পাইপ লাইন এবং ১,৪৪,০০০টি গৃহ সংযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। সারা দেশের ৩১টি পৌরসভায় ‘নিরাপদ পানি সরবরাহ ও এনভায়রনমেন্টাল স্যানিটেশন প্রকল্প’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাবিত রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ৯৭টি উৎপাদক নলকূপ, ১০টি আয়রন রিমুভাল প্ল্যান্ট, ৯৩১.০৮ কি. মি. পাইপ লাইন, ১,০২,০৬১টি গৃহ সংযোগ, ৩১১টি পাবলিক টয়লেট, ৭৬৩টি কমিউনিটি ল্যাট্রিন, ৩১টি পৌরসভায় কম্পোজিট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং ৪০৩.৭৩ কি. মি. ড্রেন স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।