পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা ফেরাতে ও নিজের জীবনমান উন্নয়নে প্রতিদিন বিদেশে পড়ি জমান বাংলাদেশিরা। বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ প্রবাসী বসবাস করেন। এদের বড় একটি অংশ রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়ায়। দেশ থেকে বেকার, অদক্ষ, অর্ধ শিক্ষিত তরুণরা কৃষি কাজে, নির্মাণ শ্রমিক, ক্লিনিং কাজ, গৃহকর্মে কাজ, সিকিউরিটি, কারখানার শ্রমিক হিসেব দেশগুলোতে যাচ্ছেন বাংলাদেশিরা।
প্রবাসে নিজের সুখ আনন্দ ত্যাগ করে পরিবারের সদস্যদের সুখের আশায় ছুটে চলা এই মানুষগুলো যখন বিদেশের মাটিতে স্ট্রোক, দুর্ঘটনায় অথবা অসুস্থ হয়ে মারা যায় তাদের মরদেহ দেশে পাঠাতে বেশ কষ্ট পোহাতে হয়। মালিকের পক্ষ থেকে নামমাত্র সহযোগিতা পেলেও অনেক প্রবাসীর মরদেহ দেশে পাঠাতে কোনো সহযোগিতা দেওয়া হয় না। তখন এই প্রবাসীর মরদেহ স্বজনদের কাছে পাঠাতে কমিউনিটি বিভিন্ন নেতা ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে তাকে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নিতে হয়ে। যার কেউ নেই তার মরদেহ হাসপাতালের হিমাগারে পড়ে থাকে মাসে পর মাস।
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার কুয়েত প্রবাসী নুর আলম মোল্লা বলেন, ‘আমাদের বৈধ পথে পাঠানো রেমিট্যান্স যদি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাহলে প্রবাসীদের মরদেহ দেশে পাঠাতে আমাদের এত কষ্ট করতে হয় কেনো।
তিনি আরও বলেন, ‘মরদেহ দেশে পাঠাতে হলে কফিন বক্স ও টিকেটের টাকা পরিচিতদের থেকে সাহায্য নিয়ে সেই চাঁদা টাকায় মরদেহ দেশে পরিবারের কাছে পাঠাতে হয়। বিদেশের মাটিতে সবাই নিজের কাজে ব্যস্ত থাকে। কয়জন প্রবাসীর নিকটাত্মীয় রয়েছে বিদেশে। ফলে প্রবাসীর মরদেহ পড়ে থাকে হাসপাতালের মর্গে। দেশে আত্মীয় স্বজনরা অপেক্ষায় থাকে কবে আসবে প্রবাসীর মরদেহ। তাই বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ বিদেশের মাটিতে প্রবাসীদের মরদেহ সরকারী খরচে যেন পরিবার ও স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’
কুয়েত মীরসরাই সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, ‘অন্যান্য প্রবাসীদের থেকে চাঁদা তুলে তারপর মরদেহ দেশে পাঠাতে হয়। সরকার ইচ্ছা করলে বিনা খরচে বাংলাদেশ বিমানে মাধ্যমে প্রবাসীদের মরদেহ দেশে নিয়ে পরিবারের কাছে পৌছয়ে দিতে পারে। ’