বাসের হেলপারির ছদ্মবেশে ২০১৮ সাল থেকে যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলো মো. রতন হোসেন (২১)। তিনি এ চক্রের দলনেতা।
তার অধীনে ১৩-১৫ জন্য সদস্যও রয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় দুই দুইফায় সে কারাভোগ করেছেন। দ্বিতীয় দফায় ৯ মাস কারাভোগের পর সে জামিনে বের হয়ে আসে এবং পুনরায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি সংঘটিত করে। ডাকাতির সময় বাসে থানা ৫/৭ জন্য নারী সদস্যের শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের ঘটনাও ঘটায় এই দলের সদস্যরা।
র্যাব জানায়, কুষ্টিয়া থেকে নারায়ণগঞ্জেগামী যাত্রীবাহী একটি বাস ডাকাতি করার জন্য ৫ হাজার টাকার একটি ফাঁদ তৈরি করে চক্রের মুলহোতা রতন হোসেন। ডাকাতি ফান্ডের এ টাকা থেকে গত ২ আগস্ট এলেঙ্গা মোড় থেকে ছুরি ও খুর কিনেন তিনি। আর পরিকল্পনা অনুযায়ী তার অন্যতম সহযোগী রাজু বাকি সদস্যদের যোগার করেন।
রাত্রিকালীন যাত্রায় ওই বাসটিতে ২৪জন যাত্রীর অবস্থান ছিল, তাদের মধ্যে ৫/৭ জন নারী যাত্রীও ছিল। ওই বাসে অস্ত্রের মুখে সব যাত্রীকে জিম্মি করে ফেলে ডাকাত দল। পরে তাদের সবার হাত-পা বাধার জন্য ব্যবহার করা হয় ওই বাসের জানালার পর্দাগুলো। ডাকাতির পাশাপাশি বাসে ধর্ষণ ছাড়াও একাধিক নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানি করে ডাকাত দলের সদস্যরা।
ডাকাতির সময় এক পর্যায় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে ছোট খাদে পড়ে যায়। পরে ডাকাত দলের সদস্যরা লুণ্ঠিত মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।
বহুল আলোচিত টাংগাইলের মহাসড়কে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী রতন হোসেনসহ চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১)।
রোববার (৭ আগস্ট) রাজধানীর ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব।
সোমবার (৮ আগস্ট) বেলা ১২ টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।