কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্টমার্টিনের (বাংলা চ্যানেল) উদ্দেশে সাঁতার শুরু করেছে ১০ বছর বয়সী সৈয়দা লারিসা রোজেন। লারিসাসহ এবার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিবেন ৮০ সাঁতারু।
‘১৬তম ফরচুন বাংলা চ্যানেল সাঁতার-২০২১’ সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দিতে সাঁতার শুরু করেন তারা। সাঁতারের আয়োজন করেছে ‘ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার’ ও ‘এক্সট্রিম বাংলা’।
বাংলা চ্যানেল সাঁতার প্রতিযোগিতার এ দলে রয়েছেন গত তিনবার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়া বিদেশি সাঁতারু সিক্স ফিন্ডার। এছাড়া মোহাম্মদ শোয়াইব নামে ৬৯ বছরের বৃদ্ধ ও পার্বত্য এলাকা থেকে আসা উক্যচিং মার্মা উজ্জ্বল। ছোট্ট লারিসা সফল হলে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়া কনিষ্ঠ সাঁতারু হবে সে।
ছোট্ট লারিসা জানায়, একটু ভয় ভয় করছে। তবে আশা করি আমি পারব। আজ সবার সঙ্গে প্র্যাকটিস করলাম। ঢাকাতেও নিয়মিত সাঁতরাই। লারিসার সঙ্গে সাঁতারে অংশ নিচ্ছেন তার বাবা সৈয়দ আক্তারুজ্জামান ও বড় ভাই সৈয়দ আরবিন আয়ানও। বাবা ও দুই সন্তানের একসঙ্গে অংশ নেওয়াটাও বাংলা চ্যানেলে একটা রেকর্ড।
নানা কারণে এবারের বাংলা চ্যানেল সাঁতার বিশেষ হয়ে উঠছে বলে জানান ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার। এখন পর্যন্ত ১৭ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন তিনি। কাল সফল হলে টানা ১৮ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার রেকর্ড গড়বেন। তিনি জানান, এবার সর্বোচ্চ ৮০ জন সাঁতারু অংশ নেবেন। গত বছর ৪৩ জন সাঁতারু অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩৯ জন সফল হয়েছিলেন।
লিপটন সরকার বলেন, এই সাঁতার আন্তর্জাতিক রীতি মেনে পরিচালনা করা হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। এবারও একজন বিদেশি সাঁতারু অংশ নিচ্ছেন। আমরা বাংলা চ্যানেল সাঁতারকে আন্তর্জাতিক করতে পেরেছি। গতবারের চেয়ে এবার প্রায় দ্বিগুণসংখ্যক সাঁতারুর অংশগ্রহণ বলে দিচ্ছে বাংলাদেশে দূরপাল্লার সাঁতার জনপ্রিয় হচ্ছে।
১৬তম বাংলা চ্যানেল সাঁতারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আছে বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডের ব্র্যান্ড ফরচুন। রেসকিউ পার্টনার হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। অংশীদার হিসেবে আরও আছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড, ইউনাইটেড সিকিউরিটিজ, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড, ষড়জ, ভিসা থিং ও স্টুডিও ঢাকা।