আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশিসহ ২৩০ অভিবাসীকে জায়গা দিল ফ্রান্স

(Last Updated On: )

তিন সপ্তাহ ধরে সমুদ্রে অপেক্ষার পর অবশেষে ফ্রান্সের তুলোন শহরে নোঙর ফেলার অনুমতি পেল ভূমধ্যসাগরে মানবিক উদ্ধার কাজে নিয়োজিত জাহাজ ওশান ভাইকিং। জাহাটিতে মোট দুইশ ৩০জন অভিবাসী রয়েছেন। এদের বেশিরভাগই বাংলাদেশ, সিরিয়া, মিশর, পাকিস্তান ও আফ্রিকার নাগরিক।

গত শনিবার ফ্রান্সের বন্দর শহর তুলোনে নোঙর করে জাহাজটি। এই প্রথম ভূমধ্যসাগরের কোনো উদ্ধারকারী জাহাজ ইটালির বন্দরে নোঙ্গরের অনুমতি না পেয়ে ফ্রান্সের বন্দরে আশ্রয় নিল। ইটালির এই আচরণের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ফ্রান্স। রোমের এই আচরণকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যা দিয়ে ইটালি থেকে সাড়ে তিন হাজার আশ্রয়প্রার্থী গ্রহণের সকল চুক্তি বাতিল করেছে ফ্রান্স।

তিন সপ্তাহ ধরে সমুদ্রে অপেক্ষার পর অবশেষে ফ্রান্সের তুলোন শহরে নোঙর ফেলার অনুমতি পেল ভূমধ্যসাগরে মানবিক উদ্ধার কাজে নিয়োজিত জাহাজ ওশান ভাইকিং। জাহাটিতে মোট দুইশ ৩০জন অভিবাসী রয়েছেন। এদের বেশিরভাগই বাংলাদেশ, সিরিয়া, মিশর, পাকিস্তান ও আফ্রিকার নাগরিক।

গত শনিবার ফ্রান্সের বন্দর শহর তুলোনে নোঙর করে জাহাজটি। এই প্রথম ভূমধ্যসাগরের কোনো উদ্ধারকারী জাহাজ ইটালির বন্দরে নোঙ্গরের অনুমতি না পেয়ে ফ্রান্সের বন্দরে আশ্রয় নিল। ইটালির এই আচরণের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ফ্রান্স। রোমের এই আচরণকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যা দিয়ে ইটালি থেকে সাড়ে তিন হাজার আশ্রয়প্রার্থী গ্রহণের সকল চুক্তি বাতিল করেছে ফ্রান্স।

এসওএস মেডিট্রেনির মুখপাত্র মেরিল সোটি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, জাহাজটি নোঙর করার আগে একজন ফরাসি ডাক্তার জাহাজে এসেছিলেন। জাহাজটি থেকে প্রথমে অসুস্থ নাগরিকদের নামান হয়। তারপর নারী, শিশুদের নিচে নামায় জাহাজ কর্তৃপক্ষ। ২৩০ অভিবাসীর এই দলকে তুলোনের সামরিক বন্দরের বাইরে নির্মিত একটি অস্থায়ী ওয়েটিং এরিয়াতে রাখা হয়েছে। এটি তুলোনের পশ্চিমে অবস্থিত ইয়ের শহরের গিয়েন্সের উপদ্বীপে অবস্থিত। অস্থায়ীভাবে তৈরি এই আবাসনকেন্দ্রটি প্রায় বিশ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে বলে এক ডিক্রিতে জানিয়ছে স্থানীয় ‘ভার’ প্রেফেকচুর।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানা বলেন, ‘৫৭জন শিশুসহ ওশান ভাইকিংয়ে বেঁচে থাকা অভিবাসীরা প্রশাসনিক আবাসন কেন্দ্র ছেড়ে কোথাও যেতে পারবে না। আমরা আপাতত আহতদের এই কেন্দ্রে রাখার অনুমতি দিয়েছি। কৌশলগতভাবে তাদেরকে মূল ভূখণ্ডের বাইরে একটি উপদ্বীপে রাখা হবে।

এদিকে, দেশটিতে ওশান ভাইকিং জাহাজটি নিয়ে শুরু হয়েছে প্রবল রাজনৈতিক বিতর্ক। কট্টর ডানপন্থি মারিন ল্য পেন সরকাররে বিরুদ্ধে অভিবাসী চাপে ‘শিথিলতা’ প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে। তবে বাম ও পরিবেশবাদী সবুজ দলগুলোর সম্মিলিত নতুন রাজনৈতিক জোট ‘লা নুপ্স’ সরকাররে এই মানবিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের মতে, ফরাসি মূল্যবোধ অনুযায়ী এটি একটি সঠিক সিদ্ধান্ত।

এসওএস মেডিট্রেনির মুখপাত্র মেরিল সোটি এএফপিকে বলেন, জাহাজে থাকা অভিবাসীদের লিবিয়ার উপকূল থেকে উদ্ধার করা হয়। ওশান ভাইকিং জাহাজের ২৩৪ জন অভিবাসীর মধ্যে ২৩ শতাংশ বাংলাদেশি এবং ১৭ শতাংশ ইরিত্রিয়ার নাগরিক। অন্যান্যদের মধ্যে ১১ শতাংশ মিশরের, ১১ শতাংশ পাকিস্তান এবং ১০ শতাংশ অভিবাসী আফ্রিকার নাগরিক।

২৩৪ অভিবাসীর মধ্যে চারজন অসুস্থ ব্যক্তিকে গতকাল হেলিকপ্টারের করে ফ্রান্সের কর্সিকা দ্বীপ থেকে উদ্ধার করে বাস্তিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিরা আজকে দক্ষিণ ফ্রান্সে অবতরণ করল। এসব অভিবাসীদের মধ্যে যারা যুদ্ধ ও সংঘাত থেকে এসেছেন তাদেরকে আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার করা হবে। পরবর্তীদের সবাইকে শরণার্থী হিসেবে অস্থায়ী আবাসনকেন্দ্রে রাখা হবে।