জাতীয়

বউ তুলে নেয়নি হামলার শিকার বরপক্ষ


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

গাজীপুরের শ্রীপুরে বর ও কনেপক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের খিলপাড়া গ্রামের তোতামিয়ার বাড়িতে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যায় বরের বাবা মো. সাহিদ ফকির বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় ৫ জনসহ অজ্ঞাত আরও ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। একই রাতে কনের বাবা বাদী হয়ে বর রাকিব ফকির, বরের বাবা মো. সাইদ ফকিরসহ অজ্ঞাত ৮০ থেকে ৯০ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কনে তাহমিনা স্থানীয় মাদরাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। বিয়ের বয়স হয়নি তার। বর রাকিব ফকিরের বয়স (১৭)। কথা ছিল বয়স ১৮ হলে কাবিন রেজিষ্ট্রি করা হবে। গত মঙ্গলবার নোটারি পাবলিকের হলফ নামার মাধ্যমে উপজেলার খিলপাড়া গ্রামের তোতা মিয়ার মেয়ে  তাহমিনার সঙ্গে মূলাইদ গ্রামের সাহিদ ফকিরের ছেলে রাকিবের বিয়ে হয়।

এরপর গতকাল কনেকে তুলে দেওয়ার অনুষ্ঠান ছিল তোতা মিয়ার বাড়িতে। বাদ জুমা ১০০ জন বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে আসে বরপক্ষ। দুপুরে খাওয়া শেষে বউ তুলে নেওয়ার অপেক্ষায় ছিল বর যাত্রীরা। বিকেল ৩টার দিকে কনে সাজানোর সময় পান, মিষ্টি , শাড়ি, গয়না নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়।

বরের বাবা সাহিদ ফকির জানান, আগে তার ছেলের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল আত্মীয়-স্বজন নিয়ে বউ তুলে আনতে যান। বিকেল ৩টার দিকে বউ সাজানোর সময় কনের ভাই রনি ও বাড়ির লোকজন পান, মিষ্টি, শাড়ি, গহনা নিয়ে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ সময় এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ১০ জনকে আহত করেন। হামলাকারীরা নারীদের লাঞ্ছিত করে প্রায় ৫ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেন। প্রাণে বাঁচতে তারা বরকে নিয়ে পালিয়ে আসছেন বলে জানান।

কনের বাবা তোতা মিয়া বলেন, ‘তিন লাখ টাকার দেনমোহরে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছে। কনের বয়স কম হওয়ায় নোটারী পালিকের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। স্বর্ণালংকারের জন্য ৫০ হাজার টাকা ওয়াসিল দেওয়া হয়। বরপক্ষ ৫০ হাজার টাকা ওয়াসিলের বিপরীতে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার শাড়ি গহনা এনেছে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বরপক্ষের লোকজন মারপিট শুরু করে। আমার ছেলে রনি, চাচা শামসুল হকসহ অন্তত ৫ জনকে পিটিয়ে আহত করে। আসবাপত্র ভাঙচুর করে আশি হাজার টাকার ক্ষতি করে। উপহারের আশিহাজার টাকাও নিয়ে যায়। বরপক্ষের পীড়াপিড়িতে বিয়েতে রাজি হয়েছিলাম। আমার অল্পবয়সী মেয়ের স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’ 

শ্রীপুর থানা উপপরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুর রহমান জানান, বিয়ে বাড়িতে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষ পৃথক অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।