ফেনীতে করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা বিষয়ে জেলা কমিটির এক সভা মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ড. মঞ্জুরুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম জাকারিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আজগর আলী, ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক বিমল কান্তি, জেলা শিক্ষা অফিসার কাজী সলিমুল্লাহ, জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক ও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভায় সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসেন জানান, কোভিড টিকা একেবারেই নতুন হওয়ায় প্রথমে এটি ঢাকা থেকে শুরু করা হবে। ফেব্রয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ফেনীতে কোভিডের টিকা প্রদান করতে পারবেন বলে তারা আশাবাদী।
প্রথম পর্যায়ে ৮০ উর্ধ্ব বয়স্ক লোকজন, মুক্তিযোদ্ধা এবং করোনায় ফ্রন্টলাইনের যোদ্ধা চিকিৎসক, স্বাস্থকর্মী, পুলিশ, সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের লোকজন ও সাংবাদিকেরা টিকা পেয়ে থাকবেন। দ্বিতীয় ধাপে অন্যান্যেরা টিকা পাবেন।
সিভিল সার্জন জানান, স্বাস্থগত ঝুঁকি থাকায় ১৮ বছরের নিচে এবং গর্ভবতী নারীদের এই টিকা দেওয়া হবে না। টিকা নিতে আগ্রহীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার উল্লেখপূর্বক অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে এবং স্বেচ্ছায় টিকা নিতে ইচ্ছুক এমন সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করতে হবে। উন্নত বিশ্বের কয়কটি দেশে এরইমধ্যে কোভিডের ভ্যাকসিন সফলভাবে প্রয়োগ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোভিডের টিকা নিয়ে ভয় ও উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। স্বাস্থ্য সহকারীরা বাড়িবাড়ি গিয়ে টিকা দিয়ে থাকলেও অত্যধিক সতর্কতা থেকে আমরা শুরুতে বাড়িবাড়ি গিয়ে দেব না। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও জেলা সদর হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্সদের দিয়ে এই টিকা দেওয়া হবে। এতে করে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া যাবে।
জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো ধরনের অপপ্রচার ও গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানান। কেউ গুজব ছড়ালে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করে দেন।