হিন্দু ধর্মাবালীদের সব চাইতে বড় ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে দূর্গাপুজা। আর এই পূজা চলেও অনেক দিন ধরে। পূজা উপলক্ষ্যে বাড়িতে চলে নানা আয়োজন। সাজ সাজ রব পরে যায় সারা পাড়া জুড়ে। আর এতো কিছু মাঝে বাড়িতে যদি একটু রঙিন আলপনা না থাকে তাহলে তো মনে হবে পূজার অনেক কাজই তো অপূর্ণ রয়ে গেল।
তবে আলপনা নিয়ে প্রধান সমস্যা হচ্ছে অনেকেই ঘরে, বারান্ধায়, শিড়ি কোঠা অথবা উঠানে একটু আলপনা করতে চান। কিন্তু ডিজাইন না জানার কারণে এই কজটি এড়িয়ে চলেন। তবে এবার পূজায় আর আপনাকে চিন্তা করতে হবে না। আজ আমাদের আয়োজনে আপনার জন্য রয়েছে নানা রঙের প্রায় ত্রিশটির বেশি আলপনা। আসুন তাহলে
ঘরের মেঝেতে চাই সুন্দর আলপনা, সঙ্গে আলপনার মাঝে বেশকিছু প্রদীপ বা মোম জ্বালিয়ে দিলে উৎসব আবহ তৈরি করা যায় খুব সহজে। বিভিন্ন রং ও ফুলের আলপনাও করা যায় বাড়ির প্রবেশ পথে।
রং দিয়ে সূর্য, ধানগাছ, পেঁচা, মই, লাঙল, মাছ, পান, পদ্ম, শঙ্খলতা, সিঁদুরের কৌটা আঁকতে পারেন। এছাড়া ফুল ও লতা-পাতা তো থাকতোই।
সন্ধ্যার পর কাঁচা ফুলের আলপনার ঠিক মাঝখানে গোলাকৃতির একটি মাটির বাসনে পানি দিয়ে তার ভেতর কিছু প্রদীপ জ্বালিয়ে দিলে দেখবেন আরও সুন্দর দেখাবে। লোকজনের হাঁটাচলা কম যেখানে, তেমন স্থানে ফুলের আলপনা করবেন। এতে নষ্ট হওয়ার ভয় থাকবে না।
শিউলি, গাঁদা বা জবা ফুল সাজিয়ে রাখতে পারেন ছোট ছোট কাঁসার থালায়। রাতে এই দৃশ্য দারুণ মন মাতিয়ে দিতে পারবে।
এছাড়া থালায় দিতে পারেন শঙ্খ, ঘণ্টা। আর একটা বিষয় মনে রাখবেন যে শুধু মেঝেতেই আলপনা আঁকা যায় এমনটা নয়। চাইলে আপনি পুরো একটা দেয়াল বা দেয়ালের কোনো একটা কোণে আলপনা আঁকা যায়।
আলপনা যেহেতু কয়েকদিনের জন্য তাই প্লাস্টিক পেইন্ট দিয়ে আলপনা করানোই ভালো হবে। কারণ প্লাস্টিক পেইন্ট তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় আবার ঘষা দিলে উঠে যায়। এছাড়া আইকা/আঠা, রঙের পাউডার সেই সঙ্গে পরিমাণ মতো পানি মিশিয়েও আলপনা করা যেতে পারে।
(Last Updated On: )