কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের আটটি দানবাক্স থেকে পাওয়া গেল ১২ বস্তা টাকা। এছাড়াও দান হিসেবে স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৯ জুন) সকাল পৌনে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মসজিদ কমিটির উপস্থিতিতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে এ বক্সগুলো খোলা হয়।
জানা যায়, বস্তাগুলো থেকে টাকা ঢেলে মসজিদের দ্বিতীয় তলায় চলছে গণনার কাজ। পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্সের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী ও রুপালি ব্যাংকের কর্মকর্তারা টাকা গণনা করছেন।
এর আগে সর্বশেষ গত ২৩ জানুয়ারি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন সর্বোচ্চ দুই কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা পাওয়া যায়।
এসময় সেখানে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা ইয়াসমিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলহাস হোসেন সৌরভ, মো. ইব্রাহিম ও মো. উবায়দুর রহমান শাহেল উপস্থিত ছিলেন।
তারা জানান, টাকা গণনা শেষ হতে বিকেল হয়ে যাবে। শেষ হলে হিসেব করে ব্যাংকে জমা রাখা হবে এ টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বক্স খোলার সময়ের ব্যবধান বাড়ানো হয়েছে। এবার চার মাস ২৬ দিন পর দানবাক্স খোলা হচ্ছে।
জানা যায়, প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ মসজিদটির দানসিন্দুকগুলোতে নগদ টাকা-পয়সা ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার দান করেন। এছাড়া গবাদিপশু, হাঁস-মুরগীসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্রও মসজিদটিতে দান করা হয়।