সোমবার সকালে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র, তৃণমূলের বিধায়ক এবং মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের চেতলার বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সকাল ৯টা নাগাদ তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় সিবিআই।
এদিকে বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় ফিরহাদ বলেন, ‘নারদ মামলায় আমাকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। বিনানোটিশে আমাকে গ্রেফতার করা হল।’
ফিরহাদ আরও বলেন, ‘স্পিকারের অনুমতি ছাড়াই আমায় গ্রেপ্তার করা হল। আদালতে দেখে নেব।’
সোমবার সকালেই মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আনা হয় রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে সিবিআই সূত্রের খবর।
সিবিআই সূত্রে খবর, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে অ্যারেস্ট মেমোয় সইও করানো হয় এই চারজনকে।
২০১৪ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে কলকাতায় আসেন সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েল। পশ্চিমবঙ্গে ব্যবসা করতে ইচ্ছুক বলে জানিয়ে তৃণমূলের প্রভাবশালী কয়েকজনের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার আশায় নির্বাচনের আগে তাদের হাতে টাকা তুলে দেন এবং সেই লেনদেনের ছবি লুকিয়ে তুলে নেন মোবাইলের ক্যামেরায়। পরে ২০১৬ সালে নারদা ডটকম নামের একটি নিউজপোর্টাল তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন শীর্ষ স্থানীয় নেতা, মন্ত্রী এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ঘুষ নেওয়ার ভিডিও প্রকাশ করে।
এ ঘটনায় সে সময় ভারতজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এরপর তৃণমূলের বহু নেতা, সাংসদ এবং মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন করে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই।
এদিকে সোমবার সকালে ফিরহাদকে চেতলার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যান সেই বাড়িতে। সেখান থেকে সোজা চলে আসেন নিজাম প্যালেসে। সেখানে সাংবাদিকরা মমতাকে আসার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘ওদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি।’
মমতা বলেছেন, এই গ্রেপ্তার বেআইনি। যতক্ষণ না তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তিনি নিজাম প্যালেস ছাড়ছেন না।